ICDS, Chandrakona, চরম অব্যবস্থায় অভিযোগ, চন্দ্রকোনার শোলা গ্রামে আইসিডিএস কেন্দ্রে বিক্ষোভ এলাকাবাসীদের

পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৯ জুন: আইসিডিএস কেন্দ্রের নিজস্ব ভবন নেই, খোলা আকাশের নিচে যত্রতত্র চলে এই কেন্দ্র ও শিশুদের রান্নার কাজ। নিজস্ব ভবন না থাকায় অন্যের বাড়িতে থাকে কেন্দ্রের মিডডে মিলের সামগ্রী।নিয়মিত মিডডে মিলের রান্না হয় না, তার উপর কেন্দ্রের সহায়িকার শারীরিক অসুস্থতার জন্য গরহাজির থাকেন, পরিবর্তে দায়িত্ব সামলান তার স্বামী। আইসিডিএস কেন্দ্রের এই চরম অব্যবস্থায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ল এলাকার মানুষজন। নতুন আইসিডিএস ভবন তৈরির দাবি জানান এলাকাবাসীরা। ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ১ নং ব্লকের লক্ষ্মীপুর ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের শোলা গ্রামের। বছরের পর বছর ধরে এই ভাবেই একটি আইসিডিএস কেন্দ্র হয়ে আসছে ঐ এলাকায়।

জানাযায়, ঐ আইসিডিএস কেন্দ্র থেকে ৬০ জনের মত শিশু থেকে গর্ভবতী মহিলারা খাবার নেন। সেই আইসিডিএস কেন্দ্রের এই চরম অব্যবস্থা নিয়ে একাধিকবার প্রশাসনিক দপ্তরে জানিয়েছেন এলাকার মানুষজন, তাতেও কাজের কাজ কিছু না হওয়ায় আইসিডিএস কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে অভিভাবক থেকে এলাকার মানুষজন। তাদের অভিযোগ, এলাকার আইসিডিএস কেন্দ্রের স্থায়ী কোনো ভবন নেই। নেই কোনো রান্নার সেড। যত্রতত্র খোলা আকাশের নীচে চলে এই কেন্দ্রটি। মাস তিনেক ধরে এই কেন্দ্রে মিডডে মিলের রান্নাও হচ্ছে না। মিডডে মিলের রান্নার সামগ্রী রাখা হয় গ্রামের এক ব্যক্তির বাড়িতে, আর মাঝেমধ্যে যত্রতত্র মিডডে মিলের রান্না হয়, যাতে খাবারের মান নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন অভিভাবকরা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে প্রশাসনিক দপ্তরে জানিয়েও কোনো সুরাহা না হওয়ায় তারা আন্দোলনে নেমেছেন বলে দাবি এলাকাবাসীদের।

জানাগেছে, এই আইসিডিএস কেন্দ্রে রাঁধুনি, সহায়িকা রয়েছেন। কেন্দ্রের সহায়িকা দিপালী করণ শারীরিক অসুস্থতার জন্য কেন্দ্রে যেতে পারেন না, পরিবর্তে তার স্বামী যুধিষ্ঠি করণ কেন্দ্রের দেখভাল করেন। সহায়িকা দিপালী করণের স্বামী ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেন, আমার স্ত্রী প্যারালাইসিস, আমাকে অফিস থেকে বলেছিল তুমি দায়িত্ব নিয়ে সেন্টারটা চালাবে। রান্নার চাল, ডাল সাপ্লাই তিন মাস বন্ধ থাকায় মিডডে মিল বন্ধ ছিল বলে জানান তিনি। একে আইসিডিএস কেন্দ্রের নিজস্ব ভবন নেই, চরম অব্যবস্থা, তার উপর কেন্দ্রের সহায়িকার শারীরিক অসুস্থতার জন্য গরহাজির থাকেন কেন্দ্রে।সহায়িকার স্বামীর উপর কেন্দ্রের দায়িত্ব দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এখন দেখার, কবে হাল ফেরে এই আইসিডিএস কেন্দ্রের।

যদিও ঘটনার কথা স্বীকার করেন চন্দ্রকোনা এক নম্বর ব্লকের বিডিও কৃষ্ণেন্দু বিশ্বাস। তিনি ক্যামেরার সামনে কিছু না বললেও আমাদের জানিয়েছেন, গ্রামবাসীদের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত সমস্যা সমাধানে চেষ্টা চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *