আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ১৯ মে : রামপুরহাট পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা পানীয় জলের অভাবে জেরবার। ওয়ার্ডের গদাই পাড়ার বাসিন্দাদের বহুদূর পর্যন্ত যেতে হচ্ছে পানীয় জলের জন্য, কিন্তু সুরাহা মেলেনি। রামপুরহাট পুরসভার চেয়ারম্যানকে ফোন করলে উনাকে পাওয়া যায় না, বলে অনেকের অভিযোগ।
এই ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর শুদ্ধোধন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এরকম আরও দুটো জায়গারও একই অবস্থা। চেয়ারম্যানকে বলে বলে শেষ পর্যন্ত একটি জায়গায় কাজ শুরু হয়েছে। পৌরসভা বলছে টাকা নেই।” এব্যাপারে রামপুরহাট পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন ভকতকে ফোন করা হয়, বার বার ফোনের রিং বাজলেও তিনি ফোন ধরেননি, বা কল ব্যাক করেননি। মানুষের একাংশের অভিযোগ, উনাকে মানুষ সব সময় পায় না।
ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা রামপুরহাট শহর কংগ্রেস সভাপতি সাহাজাদা হোসেন বলেন, “গত ৯ মাস আগে পৌরসভার পক্ষ থেকে আমাদের রেলপার গদাই পাড়ায় পানীয় জলের এই পাম্পটি বসানো হয়েছে। এখনো পর্যন্ত পাইপ লাইনের কাজ না হওয়ার ফলে, এলাকাবাসীরা পানীয় জলের সঙ্কটে ভুগছেন। সতেরো নম্বর ট্যাঙ্কের সঙ্গে ঘরে ঘরে বহুদিন আগের যে পানীয় জলের ব্যবস্থা ছিলো, তা প্রায় অকেজো হয়ে পড়ে। সরু সুতোর মতো জল আসে। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয় না। সেই কারণে জলের জন্য বাড়ির মহিলাদের অবস্থা নাজেহাল।”
পাড়ার বাসিন্দা বিদ্যাবতী সাহা সহ অনেক মহিলা জানান, সকাল থেকেই জলের জন্য অন্য ওয়ার্ডে ছুটতে হয়। জানাগেছে, এই সমস্যা সমাধানের জন্য পাম্পের ব্যবস্থা হলেও, জায়গার অভাবে পুরসভার পাম্প ঘুরে যাচ্ছিলো। এরপরই ওয়ার্ডবাসী সাধন সাউ পাম্প বসানোর জায়গা দেন। সুইচ বোর্ডটা তাঁর বাড়িতে। স্বপনবাবু বলেন, “সব কাজ সম্পূর্ণ। কিন্তু পাইপ লাইনের অভাবে জল সরবরাহ বন্ধ।”
১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পেশায় আইনজীবী মহম্মদ কামেরুজ্জামান বলেন, “গত বছর দুর্গাপুজোর আগে এই পাম্প বসানো হয়। লোকসভা ভোট ঘোাষণা হয়ে যাওয়ায় কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ফল বের হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলা হয়। ফল বের হওয়ার পর চেয়ারম্যানের কাছে গেলে তিনি বলেন, এই পাড়ায় হিন্দুরা বিজেপি এবং মুসলিমরা কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছে। তাই পাম্প লাইন আর হবে না। এব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে পুরসভার চেয়ারম্যানকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
তবে কাউন্সিলর শুদ্ধোধন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ভোট দেখে পানীয় জলের ব্যবস্থা তৃণমূল করে না। এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ।