আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগনা, ২২ নভেম্বর: কোভিড আক্রান্ত সুস্থ রোগী কে খড়দহ বলরাম হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিতে এসে রোগীর পরিজনরা দেখতে পান, যাকে তাদের লোক বলে দেওয়া হচ্ছে সে অন্য ব্যক্তি। পরে জানতে পারেন করোনা আক্রান্ত হয়ে আগেই তাদের আত্মীয় মারা গেছেন। তাকে অনেক দিন আগে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। খড়দহ বলরাম হাসপাতালে কোভিড আক্রান্ত মোহিনী মোহন মুখার্জির পরিবারের সাথে ঘটেছে এই ঘটনা।
মোহিনী মোহন মুখার্জি সুস্থ হয়েছেন এই খবর পেয়ে
অনেক আশা নিয়ে তাঁকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিতে এসেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু গতকাল খড়দহ বলরাম সেবামন্দির হাসপাতালে এসে হতচকিত হয়ে যান তাঁরা। নিজেদের রোগীকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে যেতে এসে দেখেন কোভিড নেগেটিভ হিসাবে যে রোগীকে তাদের দেওয়া হচ্ছে, তিনি মোহিনী মোহন মুখার্জি নন। চিকিৎসার পর শিবনাথ ব্যানার্জিকে দেওয়া হচ্ছিল। হঠাৎ এই ঘটনায় হতবাক হয়ে যান মুখার্জি পরিবারের সদস্যরা। পরে তাঁরা জানতে পারেন, মোহিনী মোহনবাবুকে গত ১৫ নভেম্বর মৃত্যুর পর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বরানগর আলম বাজার শ্মাশান ঘাটে।
ছবি: রোগীর আত্মীয়।
গত ৭ নভেম্বর মোহিনী মোহনবাবুকে বারাসাত কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল চিকিৎসার জন্য। সেখানে মারা যান মোহিনী মোহন মুখার্জি। এদিকে বিরাটির বাসিন্দা শিবনাথ ব্যানার্জি খড়দহ বলরাম হাসপাতালে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তবে হাসপাতাল থেকে শিবনাথবাবুর পরিবারকে তাঁর সুস্থ হওয়ার খবরের পরিবর্তে মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছিল। পরে স্পষ্ট হয়, এ যেন উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চেপেছে। মোহিনী মোহনের বাড়ির লোককে হাসপাতাল থেকে ডাকা হয়, তাদের রোগীকে বাড়ি নিয়ে যাবার জন্য। তারা এসে দেখেন, তাদের পরিজন নয়। যাঁকে মোহিনী মোহন মুখার্জি নামে তাদের দেওয়া হচ্ছে, তাঁর নাম আসলে শিবনাথ ব্যানার্জি, বিরাটির বাসিন্দা।
মোহিনী মোহন মুখার্জির পরিবারের সদস্যরা হতচকিত হয়ে খড়দহ পুরসভার চেয়ারপার্সন কাজল সিনহার দ্বারস্থ হন। এরপরে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, এক জনের কাগজপত্র আরেক জনের ফাইলে চলে যাওয়ায় এই বিপত্তি হয়েছে। খড়দহ পুরসভার পৌর প্রশাসক হাসপাতালের এই বিভ্রান্তি মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই গঠিত হয়েছে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি। যারা দোষী তাদের উপযুক্ত শাস্তি হবে।