সুশান্ত ঘোষ, বনগাঁ, ১২ ডিসেম্বর: জল্পনার অবসান, বিজেপিতে যোগ দিলেন তৃণমূলের হেভি ওয়েট নেতা রতন ঘোষ।জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্য পদও ছেড়েছিলেন এই হেভি ওয়েট নেতা রতন ঘোষ। সেই থেকেই শুরু দলবদলের জল্পনা।সেই জল্পনাতেই সিলমোহর পড়ল শুক্রবার। কলকাতার হেস্টিংসে বিজেপি কার্যালয়ে পদ্মশিবিরের পতাকা হাতে তুলে নিলেন
রতনবাবু।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে বিজেপির হেস্টিংসের
কার্যালয়ে যোগদান কর্মসূচি ছিল। সেখানে ছিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সায়ন্তন বসু, বনগাঁর বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস সহ অন্যান্যরা। সেখানে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেন রতন ঘোষ। সেই সঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনার আরও বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা যোগ দেন বিজেপি শিবিরে।
ইতি মধ্যে বনগাঁ মহকুমা জুড়ে রতন ঘোষের পোস্টার পড়েছে, তাতে লেখা দাদার সঙ্গে কাজ করতে চাই।
তৃণমূলের জন্ম লগ্ন থেকেই রতনবাবু দলের হয়ে কাজ শুরু করেন। যিনি বনগাঁ মহকুমার মানুষকে তৃণমূলকে চিনিয়ে ছিলেন। আজ জেলা থেকে যারা প্রথম সারির নেতা বলে মনে করছেন তাঁদের জায়গা করে দেওয়ার মূল কাণ্ডারি ছিলেন রতন ঘোষ। আর সে কারণেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিটি সভায় তাঁকে দেখা যেত। মমতাও মঞ্চে প্রায়ই তাঁর নাম বলতেন। সেই রতন ঘোষকেই দেখা যায়নি গোপালনগরে মুখ্যমন্ত্রীর সভায়। তা নিয়ে শুরু হয় গুঞ্জন। এরপর জানা যায়, তিনি জেলাশাসকের কাছে কর্মাধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।
পদ ছাড়ার ব্যাপারে রতনবাবু অবশ্য স্পষ্ট করে কোনও মন্তব্য করেননি। প্রথম থেকেই তিনি বলেছিলেন, “সময় হলে আমি আমার বক্তব্য জানাব।” অবশেষে এবার বিজেপিতে যোগ দিলেন তিনি। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর রতনবাবু জানাগিয়েছে, মমত বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে যতটা কাজের সন্মান পেয়েছি, তার থেকে বেশি অসন্মান হয়েছে যাদের দলে এনে জায়গা দিয়ে ছিলাম। তাঁর বক্তব্য, এছাড়া স্থানীয় নেতাদের অরাজনৈতিক কাজকর্ম, গুন্ডাগিরি ও কুকর্ম মেনে নিতে পারছিলেন না, আর সে কারণেই দল ত্যাগ করছেন রতনবাবু।