রামপুরহাট পুরসভায় পুরনো ওয়ার্ডে দাঁড়াতে পারবে না চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান

আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ১৭ জানুয়ারি: পুরসভার খসড়া তালিকায় পুরনো ওয়ার্ডে আর দাঁড়াতে পারবেন না রামপুরহাট পুরসভার চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যান। তাদের দুটি ওয়ার্ডই এবার মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। একইভাবে দুই প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান দাঁড়াতে পারবেন না নিজের পছন্দের ওয়ার্ডে। কারণ তাদের দুটি ওয়ার্ডেও মহিলা সংরক্ষিত হয়েছে।

শুক্রবার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থকে বিভিন্ন পুরসভার খসড়া সংরক্ষিত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেই তালিকায় ১ ও ৯ তপশীল এবং ৪ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড তপশীল মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে। অন্যদিকে ৫, ৭, ১০ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ড এবার সাধারণ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি চেয়ারম্যান অশ্বিনী তেওয়ারির। তিনি ১৯৯৫ সালে প্রথম নির্দলের টিকিটে মই প্রতীকে জয়ী হন। পরের বছরও নির্দলের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন। শেষ দু’বার তিনি তৃণমূলের প্রতীকে জয়লাভ করেন। কিন্তু এবার আর নিজের ওয়ার্ডে দাঁড়াতে পারছেন না। এনিয়ে খুব একটা মাথাব্যাথা নেই অশ্বিনীর। তিনি বলেন, “আমি দলের একজন সৈনিক। দল আমাকে কাউন্সিলর করেছে। পরে চেয়ারম্যান করেছে। এখন দল যে সিদ্ধান্ত নেবে তাই মেনে নেব”।

ভাইস চেয়ারম্যান সুকান্ত সরকার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হলেও তিনি গত নির্বাচনে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে দাঁড়িয়ে জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু এবার মহিলাদের হয়ে যাওয়ায় তিনি দাঁড়াতে পারবেন না। তিনিও জানিয়েছেন দলের নির্দেশ মেনে চলবেন।

অন্যদিকে তিনবারের কাউন্সিলর, প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান তৃণমূলের আব্বাস হোসেন নিজের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে এবার দাঁড়াতে পারবেন না। কারণ তার ওয়ার্ড এবার তপশীল সাধারণ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে। তিনিও সব কিছু দলের উপর ছেড়ে দিয়েছেন। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান শুভাশিস চৌধুরীও নিজের ওয়ার্ডে দাঁড়াতে পারবেন না। কারণ তার ওয়ার্ড এবার সাধারণ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। শুভাশিসবাবু বলেন, “এখন অনেক সময় আছে। খসড়া তালিকা নিয়ে আমরা দলে আলোচনা করব। তবে আমরা লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। আগামীতে পুরসভা আমরাই দখল করব”।

সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য সঞ্জীব বর্মণ বলেন, “খসড়া তালিকা নিয়ে আমাদের মাথা ব্যথা নেই। আমরা চাই সুষ্ঠ ও অবাধ নির্বাচন। রাজ্য পুলিশ কি সেই নিশ্চয়তা দিতে পারবে। জেলা প্রশাসন আগে ভোটারদের মনে সেই ভয় দূর করুক”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *