Tribal, Rampurhat, আদিবাসী সংগঠনের মিছিল, পাল্টা মিছিলে স্তব্ধ রামপুরহাট শহর

আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ১৭ অক্টোবর: আদিবাসী নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে আদিবাসীদের মধ্যে শুরু হলো রাজনৈতিক লড়াই। আদিবাসী সংগঠনের মিছিল, পাল্টা মিছিলে দু’দিন স্তব্ধ হলো রামপুরহাট শহর। একই সঙ্গে একে অপরকে হুঁশিয়ারি দিতে ছাড়েনি পৃথক পৃথক সংগঠনের নেতারা।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৮ আগস্ট গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় রামপুরহাট থানার বারোমেশিয়া গ্রামের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। ১৬ সেপ্টেম্বর তার দেহ উদ্ধার হয়। গ্রেফতার করা হয় ছাত্রীর স্কুল শ্যামপাহাড়ি শ্রীরামকৃষ্ণ শিক্ষপীঠের ভৌতবিজ্ঞানের শিক্ষক মনোজ কুমার পালকে। এরপরেই অভিযুক্ত শিক্ষকের ফাঁসির দাবিতে রামপুরহাট শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠন। ৯ অক্টোবর দিশম আদিবাসী গাঁওতা সংগঠনের সভাপতি রবিন সোরেনের নেতৃত্বে ধামসা মাদল, হাতে প্ল্যাকার্ড, তীর- ধনুক, ধারালো অস্ত্র লাঠি নিয়ে হয় মিছিল। মিছিলে প্রতীকী ফাঁসির জন্য কাঠগড়া তৈরি করা হয়। বীরভূম ছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে সংগঠনের সদস্যরা জমায়েত হন। মিছিল শেষে রামপুরহাট পাঁচ মাথা মোড়ে পথ সভা হয়। মাস্টারের ফাঁসি সহ একাধিক বিষয় নিয়ে তারা বক্তব্য রাখেন। এটা নিয়ে যারা রাজনীতি করছেন তাদেরও হুঁশিয়ারি দেন।

আজ পথ সভায় নির্যাতিতার বাবাও উপস্থিত ছিলেন। আদিবাসীদের এই বিক্ষোভ মিছিলে স্তব্ধ হয়ে যায় রামপুরহাট শহর। ৯ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী অধিকার রক্ষা মঞ্চ সহ একাধিক আদিবাসী সংগঠন রামপুরহাটে মিছিল করে রবীন সোরেনকে হুঁশিয়ারি দেয় বীরভূম ছাড়া করার। শুক্রবার রবীন সোরেনের সংগঠন দিশম আদিবাসী গাঁওতা রামপুরহাটে মিছিল করে পাল্টা হুঁশিয়ার দেয়। এদিন সংঘটনের সভাপতি রবিন সোরেনের নেতৃত্বে ধামসা মাদল, হাতে প্ল্যাকার্ড, তীর- ধনুক, ধারালো অস্ত্র, লাঠি নিয়ে মিছিল করা হয়। মিছিলে ছিল প্রতীকী ফাঁসির জন্য কাঠগড়া। বীরভূম ছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে সংঘটনের সদস্যরা জমায়েত হন। মিছিল শেষে রামপুরহাট পাঁচ মাথা মোড়ে পথ সভা করা হয়। মাস্টারের ফাঁসি সহ একাধিক বিষয় নিয়ে তারা বক্তব্য রাখেন। এটা নিয়ে যারা রাজনীতি করছেন তাদেরও হুঁশিয়ারি দেন। এদিন পথসভায় মৃত ছাত্রীর বাবাও উপস্থিত ছিলেন। আদিবাসীদের এই বিক্ষোভ মিছিলে স্তব্ধ হয়ে যায় রামপুরহাট শহর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *