Nalanda, PC Sarkar, বখতিয়ার খিলজীর নামে নয়, নালন্দার নামেই করা হোক রেলওয়ে স্টেশন, দাবি জাদুশিল্পী পি সি সরকারের

আমাদের ভারত, ২৪ জুন: “নালন্দায় যাওয়ার রেলওয়ে স্টেশন নালন্দার নামেই করা হোক, বখতিয়ার খিলজীর নামে নয়”। সোমবার এই দাবি তুললেন জাদুশিল্পী পি সি সরকার জুনিয়র।

সোমবার সামাজিক মাধ্যমে তাঁর এই পোস্টে সমর্থন করেছেন অনেকে। উঠেছে বিতর্কও। অমরেন্দ্র কুমার দাস লিখেছেন, “করা উচিত। জেহাদিদের নামে কেন আছে এখনও?”

সুশান্ত পাল লিখেছেন, “১৯৫৩ সালে এবং তার আগে “বখতিয়ারপুর” রেলওয়ে স্টেশনের নাম নালন্দা ছিল, কেন স্বাধীন ভারতে নালন্দা রেলওয়ে স্টেশনের নাম বখতিয়ার খিলজির নামে পরিবর্তন করা হয়েছিল? সর্বোপরি, কেন কংগ্রেস হিন্দুদের এত ঘৃণা করে? ১৯৫৩ সালে ভারতের ফিল্ম ডিভিশন দ্বারা নির্মিত বিহার এবং নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর ডকুমেন্টারি ফিল্ম ‘ল্যান্ড অফ এনলাইটমেন্ট’-তে দেখানো নালন্দা রেলওয়ে স্টেশনটি একটি শক্তিশালী প্রমাণ যে এই রেলওয়ে স্টেশনটির নাম ১৯৫৩ সালের পরে বখতিয়ারপুর করা হয়েছিল।”

সৌকত খান প্রশ্ন তুলেছেন, “স্টেশনের নাম বদল করবেন কেন? মুসলমান শাসক বখতিয়ার খিলজির নামে বলে? শাসকদের ঐতিহাসিক তালিকা থেকে তার নাম কি মুছতে পারবেন? যদি তা না পারেন তাহলে এসব করে ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করা অন্যায়।” জবাবে ঈশান তাপস পাল লিখেছেন, “তুমি বাংলাদেশ নিয়ে ভাবো। এটা আমাদের নিজেদের ব্যাপার। তোমরা বাংলাদেশে কেমন সম্প্রীতি বজায় রাখো সেটা সবাই জানি, হিন্দুদের কেমন রাখো সেটা সবাই জানে। পারলে এটাকে ঠিক করো।”

দেবাশিস পাল লিখেছেন, “সেই চেষ্টাটা কারা শুরু করেছিল একটু ইতিহাস ঘেঁটে দেখুন। বর্তমানে সেগুলোই শুধু পুরাতন ঐতিহ্যকে পুন:প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। পৃত্থীরাজ মুখার্জি সৌকতের উদ্দেশে লিখেছেন, “আপনার দেশের বর্তমান প্রজন্মের, ভারত বিদ্বেষী মানষিকতার পরিবর্তনটা করার চেষ্টা করুন আগে, তারপর না হয় এই কথা গুলো বলবেন।

পি সি সরকার লিখেছেন, “লোকটা বিদেশি দস্যু, আমাদের দেশকে লুঠ ক’রতে এসেছিলো। বাঙালি নন। ম্যাজিকের সিদ্ধাই-এর বইও সব পুড়িয়েছিলো। তার নামের বানানটা যাই হোক, লোকটা ছিলো বিদেশি শয়তান। আমাদের ক্ষতি করেছে। সভ্যতার শত্রু।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *