স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদীয়া, ২ ফেব্রুয়ারি:
সকালবেলাতেই রেল অবরোধের শিকার যাত্রীরা। ভোরবেলা থেকে জালালখালি স্টেশনে রেল অবরোধের ফলে এদিন নাকাল হল নিত্যযাত্রীরা। অবরোধকারীদের দীর্ঘদিনের দাবি, সব লোকাল ট্রেন জালালখালি হল্ট–এ থামতে হবে, আর এই লোকাল ট্রেন থামানোর দাবিতেই অবরোধ চলে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে।
কৃষ্ণনগরের পরের স্টেশন হলো জালালখালি হল্ট। সেখানে সব লোকাল ট্রেন দাঁড়ায় না। সারাদিনে কয়েকটা ট্রেন দাঁড়ায়। এলাকার মানুষের দাবি, সব লোকাল ট্রেন এখানে দাঁড় করাতে হবে। ২০১৭ সাল থেকে কৃষ্ণনগর কল্যাণী প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে একাধিকবার লিখিতভাবে জানানো হয়েছে তাদের সমস্যা রেল কর্তৃপক্ষকে। এছাড়াও বহুবার ডিআরএম শিয়ালদা, ফেয়ারলিপ্লেসেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু সমস্যার কোনো সুরাহা হয়নি। তাই আজ সকাল ৭.২০টা থেকে ৯টা পর্যন্ত চলে রেল অবরোধ।
জালালখালি এবং জালালখালির আশেপাশের সমস্ত গ্রামের মানুষ আজকের ট্রেন অবরোধে শামিল হয়। এর ফলে নাকাল হতে হয়েছে নিত্যযাত্রীদের। বিভিন্ন স্টেশনে আপ ও ডাউন লাইনে ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। গ্রামবাসীদের দাবি, যতদিন জালালখালি হল্ট স্টেশনে সব গাড়ি না দাঁড়াচ্ছে ততদিন আন্দোলন চলবে।