সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ১৫ নভেম্বর: মাঝের হাট লোকাল বন্ধ করার অভিযোগ তুলে রেল এবং সড়ক পথ অবরোধ করলেন রেল যাত্রীরা। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকালে রণক্ষেত্র পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর স্টেশন চত্বরে। অবরোধ তুলতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। অন্য দিকে অবরোধকারীদের পাল্টা পাথর বৃষ্টির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
এই রেল শাখার নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, বেশ কয়েকদিন ধরেই বনগাঁ-মাঝেরহাট লোকাল বাতিল করে বারসত লোকাল করেছে। এর ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের। এদিন মাঝেরহাট লোকালকে বারাসত পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। আর তাতেই ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অশোকনগর স্টেশনে পৌঁছাতেই সেই ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে দিয়ে রেল লাইনে বসে পড়েন রেলযাত্রীরা। পাশাপাশি, অশোকনগর রেলস্টেশন সংলগ্ন ৩ নম্বর রেলগেটে যশোর রোডের উপরেও অবরোধ শুরু হয়। এর ফলে রেল এবং সড়কপথে ট্রেন ও গাড়ি যাতায়াত সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। সকাল সাড়ে আটটা থেকে এই অবরোধ শুরু হয়। প্রায় এক ঘন্টা চলে অবরোধ।
ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছায় বনগাঁ জিআরপি এবং অশোকনগর থানার পুলিশ। সড়ক অবরোধের ফলে আটকে যায় অ্যাম্বুলেন্সও। পুলিশ এসে অবরোধকারীদের বুঝিয়ে অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু অবরোধকারীরা তাদের দাবিতে অনড় থাকায় অবরোধ চলতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে এক সময় পুলিশ অবরোধকারীদের জোর করে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করে। আর তখনই অবরোধকারীদের সঙ্গে শুরু হয় খন্ডযুদ্ধ। একদিকে পুলিশের লাঠিচার্জ, অন্যদিকে অবরোধকারীদের পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার ঘটনায় রণক্ষেত্র পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় অশোকনগর স্টেশন এলাকায়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ বেশ কয়েকজন অবরোধকারীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
অন্যদিকে পুলিশের দাবি, পাথরের আঘাতে দুই পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন। এদিন অবরোধকারীদের মূলত দাবি ছিল, অশোকনগর থেকে আটটা দশের মাঝেরহাট লোকাল কেন বন্ধ করা হলো? তাঁরা এও বলেন, ৭:৫৩ মিনিটের লেডিস স্পেশালে উঠলে তাদের আড়াইশো টাকা করে ফাইন দিতে হয়। সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।