স্বরূপ দত্ত, আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ১০ নভেম্বর: গুজরাট থেকে হেঁটে দেশ ভ্রমণে বেরিয়েছেন রাহুল গোঁসাই। পেশায় জুয়েলারি ডিজাইনার রাহুল বৃহস্পতিবার এসে পৌঁছন রায়গঞ্জ শহরে। এখান থেকে যাবেন কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতে। যাত্রাপথে বাংলার সৃষ্টি, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি তাঁকে মুগ্ধ করেছে।
অজানাকে জানার অদম্য ইচ্ছে মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। এর পাশাপাশি রয়েছে ভ্রমণের নেশা, যা মানুষকে টেনে নিয়ে যায় দূরে বহুদূরে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা নানা ভাষা নানা জাতির এবং নানান সংস্কৃতির এই দেশ ভারতবর্ষকে চোখে দেখে উপলব্ধি করতে এক অজানা টানে হেঁটেই সারা ভারত ভ্রমণে বেড়িয়ে পরেছেন গুজরাটের বাসিন্দা রাহুল গোঁসাই। হেঁটেই যাত্রা শুরু করলেও পথে কখনও কেউ যদি গাড়িতে লিফট দেন তাহলে কিছুটা পথ এগিয়ে যেতে সেই সাহায্যও নিয়েছেন এই পদযাত্রী।
গত ১৬ অক্টোবর রাহুল গোঁসাই গুজরাট থেকে তাঁর যাত্রা শুরু করে বাংলায় প্রবেশ করে এদিন এসে পৌঁছেছেন উত্তর দিনাজপুর জেলা সদর রায়গঞ্জে। আপাতত তাঁর গন্তব্য পাহাড়ী কন্যা কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বত। কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতে যাওয়ার পথেই উত্তরবঙ্গের এই ছোট্ট শহর রায়গঞ্জে এসে আপ্লুত তিনি। রাহুল জানালেন, বাংলার মানুষ, বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার খাবার অনেক ভালো। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে বাংলা সৃষ্টি, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি গুজরাটের তুলনায় অনেকটাই ভালো বলে মনে করেন গুজরাটের বাসিন্দা রাহুল। জুয়েলারি ডিজাইনারের পাশাপাশি ফ্রিলান্সারের কাজ করেন তিনি। লিফট নিয়ে নিয়ে এবং পায়ে হেঁটে ভারত ভ্রমণ করলেও তার খরচ রয়েছে। সেই খরচ জোগাতে কাজ করতে হয় তাঁকে। তবে প্রথম থেকেই ভ্রমণের পিপাসা ছিল। লক্ষ্য ছিল অখন্ড বর্ননাতীত সৌন্দর্যময় ভারতের রূপ পরিলক্ষিত করা। সেই লক্ষ্য পূরণেই বেড়িয়ে পড়েছেন অজানাকে জানার উদ্দেশ্যে। সবার উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা প্রতিটা মানুষেরই উচিত দেশের নানান প্রান্তের নানান সংস্কৃতিকে জানতে ভ্রমণ করা। শিশু থেকে ছাত্রছাত্রীদের কাছেও তাঁর বার্তা ভ্রমণ করা সকলেরই প্রয়োজন।
গুজরাট থেকে যাত্রা শুরু করা পর থেকে কখনও কারও গাড়িতে লিফট নিয়ে আর লিফট না পেলে পায়ে হেঁটেই এগিয়ে চলেছেন একের পর এক শহর থেকে গ্রাম, এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে। নানা ভাষা নানা মত নানা পরিধান বিবিধের মাঝে মিলনো মহানকে সচক্ষে উপলব্ধি করতে।