বজ্র আঁটুনি! পুরুলিয়া পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের কর্ম বিরতি, আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি চেয়ারম্যানের

সাথী দাস, পুরুলিয়া, ২৪ জানুয়ারি: পুরনো কর্মীদের বঞ্চিত করে বেশি মাইনে দিয়ে নতুন কর্মীদের নিয়োগের প্রতিবাদে কর্ম বিরতি করে বিক্ষোভ দেখালেন পুরুলিয়া পুরসভার অস্থায়ী কর্মীরা। আজ সকাল থেকে পুরুলিয়া পুরসভার গাড়িখানা এলাকায় অবস্থিত সাফাই বিভাগের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান অস্থায়ী কর্মীরা।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বহিরাগত বেশ কিছু অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। যাদের বেশি টাকা মাইনে। অথচ, যারা অস্থায়ী হিসেবে বহু বছর ধরে কাজ করছেন তাদের মাইনে বলতে সামান্য কটা টাকা দেয়। এটা দুর্নীতির সামিল ছাড়া আর কিছু নয়। বিক্ষোভরত কর্মীদের আরও দাবি, দীর্ঘদিন ধরে প্রায় ১৭০০ অস্থায়ী কর্মী দিন মজুর হিসেবে কাজ করে আসছেন পুরুলিয়া পৌরসভায়। এদের বঞ্চিত করে পৌরসভার ২৩টি ওয়ার্ডেই ৫ জন করে আরো কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। যদিও ওই কর্মীদের জন্য আলাদভাবে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে পৌরসভার খাতায়। এমনকি দিন মজুর হিসেবে যেখানে তারা ৩৬০০ টাকা মাসোহারা বেতন পায়, সেখানে নতুন ভাবে যাদের নেওয়া হলো তাদের বেতন ৬ হাজার টাকা।

শ্রমিকদের পক্ষ থেকে সরোজিৎ সামুয়েল অভিযোগের সুরে প্রশ্ন করেন, যদি কর্মী নেওয়ার জন্য বিশেষ করে নির্দেশ আসে তাহলে সেই সুযোগ তারা দীর্ঘদিন কাজ করে রয়েছে তাদের থেকে নেওয়া হল না কেন? এই
দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়ে টানা দু’দিন কর্ম বিরতি আন্দোলনে সামিল হলেন পুরুলিয়া পৌরসভার অস্থায়ী কর্মীরা। প্রায় ১৪০০ অস্থায়ী কর্মী এই আন্দোলনে যোগ দেন। এঁদের মধ্যে সাফাই কর্মীর সংখ্যাই বেশি রয়েছেন। সাফাই কর্মীদের কর্মবিরতির জেরে আজ থেকেই প্রভাব পড়তে শুরু করেছে পুর এলাকায়। জঞ্জাল, নিকাশি পরিষ্কার না হওয়ায় স্তূপ জমতে শুরু করেছে। শনিবার, সকাল থেকেই গাড়িখানা এলাকায় সাফাই বিভাগের দফতরে জমায়েত হন অস্থায়ী কর্মীরা। সেখানেই সংগঠিত হয়ে বকেয়া টাকার দাবিতে সরব হন তারা। বেলার দিকে তারা পৌরসভার কার্যালয়ে জমায়েত হন এবং বিক্ষোভ দেখান।

পৌরসভার চেয়ারম্যান নবেন্দু মাহালি জানান, রাজ্য সরকার থেকে নির্মল সাথী হিসেবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের থেকে নিয়োগ করার জন্য। সেই হিসেবে আমি প্রতিটি কাউন্সিলরকে নিয়ে বোর্ড মিটিং করে জানিয়ে দিয়েছি।

যদিও এই নির্মল সাথীরা দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভায় অস্থায়ী হিসেবে কাজ করে আসছেন তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছিল। তাদের মধ্য থেকে নাম চাওয়া হয়েছিল কিন্তু তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। ফলে প্রকল্প ফেলে না রেখে লোক নেওয়া শুরু হয়েছে। কাজ বন্ধ রাখলে পুর আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *