আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ৩০ অক্টোবর :
সন্তান প্রসবের পরে বন্ধাত্ব করণের অপারেশনের সময় প্রসূতির মৃত্যু ঘিরে বিক্ষোভ ও নার্সিং হোম ভাঙ্গচুর। অভিযুক্ত চিকিৎসকের কঠোর শাস্তি ও অবিলম্বে অপসারণের দাবিতে পথ অবরোধ।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভূপতিনগর থানার বামুনিয়া গ্রামের অভীক দাসের প্রসব আসন্ন স্ত্রী শিপ্রা দাসকে মুগবেড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে হাসপাতালের ডাক্তার রবীন্দ্রনাথ জানার পরামর্শে সরকারি হাসপাতালে না রেখে হাসপাতালের পাশেই একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে গতকাল ভর্তি করা হয়। রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় শিপ্রা। অভীক ও শিপ্রার চার বছরের এক কন্যা রয়েছে। পুত্রসন্তান হওয়ায় ডাক্তার রবীন্দ্রনাথ জানার পরামর্শে শিপ্রার বন্ধ্যাত্বকরণে রাজি হয়েছিলেন অভীকবাবু। ত্রুটিপূর্ণ অপারেশনের ফলে নার্সিংহোমেই মৃত্যু হয় শিপ্রার। এ কথা ছড়িয়ে পড়ার পর শিপ্রার পরিবারের লোকজন ও বামুনিয়া গ্রামের মানুষজন নার্সিংহোমে ডাক্তার রবীন্দ্রনাথ জানাকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করে। ভাঙ্গচুর করা হয় নার্সিংহোম। ডাক্তার রবীন্দ্রনাথ জানার শাস্তি ও মুগবেড়িয়া হাসপাতাল থেকে অপসারণের দাবিতে পথ অবরোধ চলে প্রায় একঘন্টা। ভূপতিনগর থানার পুলিশ অবরোধ সরিয়ে দিলে উত্তেজিত জনতা মুগবেড়িয়া হাসপাতাল মোড় থেকে সরে এসে ইটাবেড়িয়া-হেঁড়িয়া রাজ্য সড়ক অবরোধ করে। এই বিক্ষোভে থাকা বামুনিয়া
গ্রামের পূর্ণেন্দু পোদ্দার জানান, গত ২৩ তারিখে মাধাখালিতে একটি নার্সিংহোমে অভিযুক্ত ডাক্তার রবীন্দ্রনাথ জানা জরায়ুতে টিউমার অপারেশনের সময় মারিশদা থানার খান গুড়গুড়ি গ্রামের স্বপন মণ্ডলের স্ত্রী কাননকে মেরে ফেলেছিল। গতবছর সেপ্টেম্বর মাসে মৃতার স্বামী অভীকের দাদা নন্দ দুলাল দাসের স্ত্রী অঞ্জলি দাসকে বন্ধ্যাত্বকরণের অপারেশনের সময় মেরে ফেলেছিল বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।
এই ঘটনার জেরে এলাকা যথেষ্ট অশান্ত হয়ে ওঠে। ভূপতিনগর থানার ওসি সহ পুলিশ আধিকারিকদের হস্তক্ষেপে দীর্ঘ সময় পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।