আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ২ ফেব্রুয়ারি: শ্যামনগরের সিদ্ধেশ্বরী মোড়ের কাছে রেললাইনের ধারে বিজেপির পার্টি অফিস দখলের প্রতিবাদে এবং এই ঘটনার যাতে আর পুনরাবৃত্তি না হয় তার দাবিতে শাসক দলের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে শ্যামনগরের পোষ্ট অফিস মোড়ে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বিজেপি নেতা ও কর্মীরা।
প্রসঙ্গত, শ্যামনগর স্টেশন সংলগ্ন রেললাইনের ধারে বিজেপির কার্যালয় দখলের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, মঙ্গলবার মধ্য রাতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এসে কার্যালয়ের কিছুটা অংশ চুনকাম করে দেয়। তালা ভেঙ্গে জিনিসপত্র নিয়ে চলে যায়। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। এই ঘটনায় একজনকে পুলিশ পাকড়াও করলেও বাকিরা পালিয়ে যায় বলে সূত্রের খবর। এরপর বুধবার সকালে স্থানীয় বিজেপি কর্মী ও নেতারা এসে দেখেন শুধু লুঠ হয়েছে তাই না তাদের পার্টি অফিসে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বিজেপি কর্মী ও নেতারা অভিযোগ করে বলেন, “নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর আমাদের এই দলীয় কার্যালয় লুঠ করেছিল দুষ্কৃতীরা। তারপর থেকেই বন্ধ রয়েছে এই পার্টি অফিসটি। সামনেই পৌর নির্বাচন, তাই এই পার্টি অফিসটা নতুন করে রং করে খোলার ব্যবস্থা করছিলাম। এর মধ্যেই তৃণমূল ফের আবার দখল করার চেষ্টা করলো।” আর এই দুষ্কৃতী হামলার প্রতিবাদ করেই এদিন বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বিজেপি নেতা ও কর্মীরা। এদিন প্রায় ঘন্টা খানেক বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
জগদ্দল মন্ডল-২ সভাপতি প্রণব মন্ডলের অভিযোগ, ভোট পরবর্তী হিংসার সময়ে একবার দলীয় কার্যালয়টিতে ভাঙ্গচুর চালিয়ে লুঠপাট করা হয়েছিল। আমরা এই বিক্ষোভের মাধ্যমে শাসক দলের কাছ থেকে জানতে চাইছি যে, বার বার কেনো আমাদের দলীয় কার্যালয় দখল করতে চাইছে ওরা। এবারও আমরা আবার তৃণমূলের থেকে উদ্ধার করলাম আমাদের পার্টি অফিসটা। আমাদের দাবি, প্রশাসন অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার করুক, আগামী দিনে যাতে এরকম আর না হয় তা সুনিশ্চিত করতে হবে।” আবার যদি এই ধরনের ঘটনা ঘটে তাহলে বিজেপি কর্মীরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথ বেছে নেবেন বলেও এদিন সাফ জানিয়ে দেয়।
অপর দিকে এই গোটা ঘটনায় বিজেপির আনা সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূল পাল্টা দাবি করে যে,
“ওই পার্টি অফিসটা তৃণমূলের কার্যালয় ছিল, কিন্তু অর্জুন সিং ভোটে জয়ী হওয়ার পর বিজেপি দখল করে। ওই পার্টি অফিস আসলে অসামাজিক কার্যকলাপ হয়। হিসসা নিয়ে কোনো গণ্ডগোল হয়েছে, হয়তো তাই এই ঘটনা ঘটেছে।” তবে এই সমস্ত ঘটনার তদন্ত করছে জগদ্দল থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক।