আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ২১ আগস্ট: সাবওয়ের দাবিতে বুধবার সকাল থেকে কেউটিয়া মোড়ে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী এবং গ্রামবাসীদের পথ অবরোধের জেরে কার্যত অচলাবস্থার সৃষ্টি হয় কল্যাণী এক্সপ্রেস ওয়েতে।
বর্তমানে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে সম্প্রসারণ ও ফোর লেন করার কাজ প্রায় শেষের মুখে। কিন্তু এই রাস্তায় পথ দুর্ঘটনা নিত্য দিন লেগে থাকে। সম্প্রতি কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে পার হতে গিয়ে একটি বেসরকারি স্কুলের বাচ্চার সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটেছিল, যাতে এক ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। তাছাড়া কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের দুই ধারে বর্তমানে প্রচুর স্কুল কলেজ তৈরী হয়েছে। তাই অবরোধকারীদের দাবি, এই রাস্তা পারাপার করতে যথেষ্ট অসুবিধার মুখোমুখি হতে হয় এলাকাবাসীকে। তাছাড়া রাস্তা বর্তমানে ঘিরে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ফলে অনেক ঘুর পথে স্কুল, কলেজ ও হাসপাতালে যেতে হয়। যার জন্য অনেকটা সময় লেগে যায় তাদের। সেই কারণে জগদ্দল বিধানসভার অন্তর্গত কেউটিয়া মোড়ে প্রায় সাত ঘন্টা ধরে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের দাবি, এই কেউটিয়া ইটভাটা এলাকার মোড়ে একটি সাবওয়ে করে দিতে হবে। যার ফলে তাদের অনেক সুবিধা হবে। যদিও এই বিষয়ে প্রথমে কোনো প্রশাসনিক কর্তা ঘটনাস্থলে না এলেও বেলার দিকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও পুলিশ এসে উপস্থিত হন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এর আগেও এই সমস্যা সমাধানের জন্য প্রশাসন থেকে সাবওয়ে করে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু আজ পর্যন্ত সেটা বানানোর কোনো উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন। এদিন এলাকার বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা সাবওয়ে তৈরির দাবি জানিয়ে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখায়, যার জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে। তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
অবশেষে এদিন বাদুদেবপুর থানার পুলিশ, বিডিও ও এক্সপ্রেসওয়ে ডেভলপমেন্ট অথরিটির আধিকারিকরা এসে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে সাবওয়ে তৈরির প্রতিশ্রুতি দিলে প্রায় সাত ঘণ্টা পর অবরোধ উঠে যায়। তবে দ্রুত প্রতিশ্রুতি মত কাজ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন এলাকার বাসিন্দারা।