পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ২১ আগস্ট: আজ পাঁশকুড়া পৌরসভার অন্তর্গত মেদিনীপুর ক্যানেলের উভয় পাড়ে বসবাসকারী গরিব বস্তিবাসীদের পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ না করার দাবিতে বস্তি উন্নয়ন কমিটির ডাকে জেলা শাসক দপ্তরে বিক্ষোভ এবং ডেপুটেশনের কর্মসূচি হয়।
গত ২৪ জুন রাজ্য সরকারের ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ জুন মাইকিং করে বস্তিবাসীদের উঠে যাওয়ার নির্দেশ দেয় পাঁশকুড়া পৌরসভা। এর প্রতিবাদে ২৭ জুন পৌরসভায় বিক্ষোভ দেখায় সহস্রাধিক বস্তিবাসী। গত ২৩ জুলাই পাঁশকুড়া পুরাতন বাজারে অবস্থান বিক্ষোভ এবং সেচ দপ্তরে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। বর্তমানে পাঁশকুড়া পৌরসভার উদ্যোগে এলাকায় সার্ভে চলছে এবং নানান ডকুমেন্ট জমা দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। দুশ্চিন্তাগ্রস্ত গরিব বস্তিবাসীরা বস্তি উন্নয়ন কমিটির আহবানে এলাকায় দু’হাজারের বেশি মানুষের স্বাক্ষর করে আজ জেলা শাসকের অফিস অভিযান করে বিক্ষোভ দেখান এবং
ডেপুটেশন দেন।
আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে বলা হয় , আমরা সহায় সম্বলহীন দরিদ্র মানুষ, দীর্ঘ বছর এই মেদিনীপুর ক্যানেলের উভয় পাড়ে বসবাস করছি। বর্তমানে এটি পরিত্যক্ত খাল। তবুও আমাদের এখান থেকে উঠে যেতে হবে বলে পৌরসভা ঘোষণা করেছে। এতে আমরা আতঙ্কিত। আমাদের উচ্ছেদ করলে ছেলে, মেয়ে, বৃদ্ধ বাবা- মা’কে নিয়ে খোলা আকাশের নিচে আমাদের থাকতে হবে রোদ- ঝড়- বৃষ্টিতে। তাই, আমরা জেলা শাসকের কাছে দাবি জানাচ্ছি, যদি কোনো বৃহত্তর সামাজিক স্বার্থে সেচ দপ্তরের জায়গা থেকে আমাদের উঠে যেতে হয়, তবে তার আগে আমাদের সরকারি উদ্যোগে পুর্নবাসন দিতে হবে। অন্যথায়, আমাদের এই জায়গায় বসবাস করতে দিতে হবে।
সমরেন্দ্রনাথ মাজি, লক্ষ্মীকান্ত সাঁতরা, মেহেবুব মল্লিক সহ ৬ জনের প্রতিনিধি দল ডেপুটেশনে যান। অতিরিক্ত জেলা শাসক ডেপুটেশন নেন। লক্ষ্মীকান্ত সাঁতরা জানান, অতিরিক্ত জেলাশাসক বলেছেন তিনি পাঁশকুড়া পৌরসভাকে বলবেন মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই বস্তিবাসীদের দাবি বিবেচনা করতে।
বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখেন কমিটির সংগঠক দীপঙ্কর মাইতি, বিনয় শাসমল প্রমুখ। প্রায় দুই শতাধিক মানুষ এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন।