স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদীয়া, ২৬ অক্টোবর:
মদ খাওয়ার প্রতিবাদ করায় ব্যাপক মারধর করা হল এক পরিবারের সদস্যদের। সন্ধ্যার পর থেকে দফায় দফায় দুষ্কৃতীরা তান্ডব চালাল, হুমকি দিল। বাড়িতে মুড়ি-মুড়কির মতো ইট ছুড়ল। বাধা দিতে গেলে একজনকে মেরে পা ভেঙ্গে দেয় দুষ্কৃতীরা। শান্তিপুর থানার রাজপুত পাড়ার ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, শান্তিপুর থানার রাজপুত পাড়ার বাসিন্দা কুন্তল সিংহ রায়ের বাড়ির পেছনে একটা পুকুর আছে। সেই পুকুরে ঠাকুমার শ্রাদ্ধের ক্ষৌরকর্ম করার জন্য গতকাল কুন্তলবাবু ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা গেছিলেন। তখন তিনি দেখতে পান প্রতিদিনের মত কয়েকজন যুবক পুকুরের পাশে বসে জুয়া খেলছে। তার সঙ্গে মদ খেয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করছে। কুন্তলবাবু ঐ যুবকদের সেখান থেকে চলে যেতে বলেন। কুন্তল বাবুর সাথে সাময়িক বচসাও হয় ঐ যুবকদের।
এরপর সন্ধ্যাবেলায় প্রায় ৪০ জন দুষ্কৃতীকে নিয়ে জয় কুমার, শ্যামা, বিজয়, ভগীরথ কুন্তল বাবুরবাড়ি চড়াও হয়। কোনও কিছু বোঝার আগেই সারা বাড়ি জুড়ে মুড়ি-মুড়কির মতো পড়তে থাকে ইট। কুন্তলবাবুর কাকা চঞ্চলবাবু প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁকে ব্যাপক মারধর করা হয়, ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপায়। দুষ্কৃতীদের ব্যাপক মারধরের ফলে চঞ্চলবাবুর পা ভেঙ্গে যায়। স্থানীয় এক যুবক গৌতমকেও মারধর করে দুষ্কৃতীরা।
ঘটনার খবর পেয়ে উপস্থিত হয় শান্তিপুর থানার পুলিশ। পুলিশ চঞ্চল সিংহ রায় ও গৌতম কে চিকিৎসার জন্য শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। তখনকার মতন দুষ্কৃতীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। কিন্তু পুলিশ চলে গেলে আবার ঐ দুষ্কৃতীরা ফেরৎ আসে। এই ঘটনায় স্থানীয় মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
কুন্তল সিংহরায় জানান, “দীর্ঘদিন ধরে জয় কুমার, শ্যামা, বিজয় আমাদের বাড়ির পিছনের এই পুকুরের পাশে জুয়ার ঠেক, মদের আখড়া চালিয়ে যাচ্ছে। বার বার বলা সত্ত্বেও এরা এখান থেকে যাচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের কার্যকলাপ চলতে পারে না। তাই আগামী দিনে আমরা এই জুয়ার ঠেক, মদের আখড়া উচ্ছেদ করে ছাড়বো। আমরা প্রশাসনকে নিয়েই এই অভিযান চালাবো।