পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৬ জুলাই: মেদিনীপুর কলেজ ও কলেজিয়েট স্কুলের সামনে থেকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার পরেও আবার ওই একই জায়গায় হকারদের দোকান লাগানোর প্রতিবাদে এবার পথ অবরোধে সামিল অধ্যাপক- অধ্যাপিকা ও শিক্ষক- শিক্ষিকারা।
গত কয়েকদিন আগে মেদিনীপুর শহরকে যানজট মুক্ত রাখতে এবং মেদিনীপুরের ঐতিহ্যবাহী মেদিনীপুর কলেজ ও কলেজিয়েট স্কুলের সৌন্দর্যায়নের লক্ষ্যে স্কুল ও কলেজের সামনে থাকা হকার ও ফুটপাত ব্যবসায়ীদের অন্যত্র সরিয়ে দেয় মেদিনীপুর সদর মহকুমা প্রশাসন ও পৌর প্রশাসন। তবে শুক্রবার সকালে লক্ষ্য করা যায় আবার স্কুল ও কলেজের সামনে কয়েকজন হকার ও ফুটপাত ব্যবসায়ীকে দোকান বসাতে। আর তারই প্রতিবাদে এবং কলেজ ও স্কুলের সামনে পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার দাবিতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কলেজের অধ্যাপক- অধ্যাপিকা ও স্কুলের শিক্ষক- শিক্ষিকারা। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মেদিনীপুর পৌরসভার পৌর প্রধান সৌমেন খান। কলেজ ও স্কুলের সামনে নতুন করে বসা হকার ও ফুটপাত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার আশ্বাস দিলে হকার ও ফুটপাত ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান সরিয়ে নেয়।
মেদিনীপুর শহরের সাধারণ মানুষের বক্তব্য, পৌরসভার অলিখিত চুক্তি না থাকলে বিভিন্ন স্তরের দোকানদার থেকে অন্যান্যরা কোন সাহসে বেআইনি দখল করে? সরকারি রাস্তা, বেআইনি শপিং মল, আকাশ ছোঁয়া বাড়ি দিনের পর দিন হয় কী করে? শহরে জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি রাস্তাঘাটের পরিসর বৃদ্ধির বদলে সংকোচন হচ্ছে। যেভাবে রাস্তা সংকোচন বেআইনি দখলদার বাহিনীর দৌলতে হচ্ছে, তাতে আগামী দিনে সাধারণ মানুষ হেঁটেও রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারবে না। আগে যে রাস্তায় বাস চলাচল করতে পারতো, আজ সেখানে পাশাপাশি দুই চাকার মোটর সাইকেল যেতে পাঁচ মিনিটের রাস্তা পনের থেকে কুড়ি মিনিট লাগছে। এর কারণ অবৈধ দখল। পাশাপাশি মেদিনীপুর পৌরসভার নিকাশি নালা থাকলেও তাও অবৈধ দখলদারদের দখলে। আর পৌর প্রশাসন থেকে জেলা প্রশাসন ভোটের রাজনৈতিক স্বার্থে অন্ধ ধৃতরাষ্ট্রের ভূমিকা পালন করছে। আর সাধারণ মানুষ যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই আছে।