আমাদের ভারত, ১২ জুন: “পুলিশ ❌ মমতা পুলিশ ✔️। পশ্চিমবঙ্গে বহুল প্রচারিত ডায়মণ্ড হারবার মডেল, এই মডেলের একমাত্র লক্ষ্য পুরো জেলা হিন্দু শূন্য করা।” বুধবার এক্সবার্তায় এভাবে মহেশতলার অবস্থা নিয়ে মন্তব্য করলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এনআইএ তদন্তর দাবিতে হাইকোর্টে যাওয়ার কথাও বলেছেন।
তিনি লিখেছেন, “ধূলিয়ান, সামসেরগঞ্জ, সুতি, মোথাবাড়ি সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দুদের উপর আক্রমণ ও মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে। আজ নতুন সংযোজন ডায়মণ্ড হারবার পুলিশ জেলার মহেশতলার রবীন্দ্রনগর থানা এলাকা। কারণ এক শ্রেণির মানুষকে মাথায় তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ভোটব্যাঙ্ক বাঁচিয়ে রাখতে চান।
ডায়মণ্ড হারবার পুলিশ জেলার মহেশতলার রবীন্দ্রনগর থানা এলাকায় আজ জেহাদিদের দ্বারা আক্রান্ত হিন্দু মন্দির, দোকান, ঘর সহ হিন্দু জনগণ। এবং জেহাদিদের হাতে আক্রান্ত বহু নিচু তলার পুলিশ কর্মী।
রবীন্দ্রনগরের নারকীয় ঘটনার বিষয়ে, হিন্দুদের বাঁচানোর স্বার্থে আমি এবং আমার সতীর্থ ৫ জন বিজেপি বিধায়ক পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের হেড কোয়ার্টার ভবানী ভবনে উপস্থিত হই ডিজি রাজীব কুমারের সাথে সাক্ষাৎ করতে। কিন্তু
রাজীববাবু উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও ওনার মালিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমাদের সাথে সাক্ষাৎ করেননি।
পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন নেই। যত্রতত্র দুর্নীতি, তোষণ, তোলাবাজির দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। আমি রবীন্দ্রনগরের বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করতে চাই, বিজেপি আপনাদের পাশে আছে এবং খুব তাড়াতাড়ি আমরা হিন্দু রক্ষার্থে মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবো, যাতে ওখানে এনআইএ তদন্ত, রবীন্দ্রনগর থানার আইসি মুকুল মিঁয়ার গ্রেফতারি এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে এলাকায় সন্ত্রাস মুক্ত করানো যায়।”