আমাদের ভারত, ২৭ ফেব্রুয়ারি: “হিন্দীভাষীরা পানি বলে। পানীয় শব্দ থেকে আসা শব্দটি তদ্ভব। এর সঙ্গে উর্দুর দূরতম সংযোগ নেই। তবু মুসলমানরা পানি বলবেই।“ জল না পানি— এই বিতর্কে এই মন্তব্য করলেন ভাষাচর্চার অসংখ্য বইয়ের প্রণেতা তথা প্রাক্তন উপাচার্য ডঃ অচিন্ত্য বিশ্বাস।
তাঁর মন্তব্য, “জল বলবে না। জলখাবার না বলে নাস্তা বলবে। অন্ধ মূঢ়তা আর কাকে বলে। হিন্দিভাষীরা পানিকে মুসলমানি শব্দ ভাবে না। আমরাও মধ্যযুগে পানি লিখেছি, প্রমাণ আছে। মুসলমান কোন যুক্তিতে পানিতে আটকে যায়? ওদের মনে হয় দেওবন্দের মুসলমান যখন পানি বলে, এটাই গ্রাহ্য। পানি তো পানীয়। যা কিছু পান যোগ্য সবই পানি। জল অর্থ কিন্তু সুনির্দিষ্ট।
যুক্তিকে উপেক্ষা করে সাম্প্রদায়িকতায় আচ্ছন্ন মন নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠের দাবি স্বীকার করা আত্মছলনা। এসব না বুঝে কথা বলে বাচাল রাজনীতি। পানি শব্দে ক্ষতি কি? একদা তো পানি আমরাও হিন্দীভাষীদের মতোই বলতাম! প্রশ্নটা মুসলমানদের করা উচিত, জল বললে আপনার ক্ষতি কি?
একতরফা ভুল যুক্তি দেখিয়ে বা বুঝে জলকে সরানো না হলে আপত্তি করতাম না। মধ্যযুগে জল পানি দু-ই ব্যবহৃত হত। আর এখন মুসলমানরা জলখাবার-ও বলবে না! এটা সাম্প্রদায়িকতা। পানি শব্দের সমর্থকরাও কম সাম্প্রদায়িক নন।”