নীল বনিক, আমাদের ভারত, কলকাতা, ১৯ আগস্ট: প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে অধীর চৌধুরীর পরামর্শ গ্রহণ করল না এআইসিসি। অধীর চৌধুরী চেয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করা হোক নবীনদের ভেতর থেকে। কিন্তু কিন্তু কংগ্রেস হাইকমান্ড অধীর চৌধুরীর সেই পরামর্শে সিলমোহর দেয়নি। কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব চাইছে দলের কোনও বরিষ্ঠ নেতাকে দায়িত্ব দিতে।
সোমেন মিত্রের চেয়ারে কাকে বসানো হবে তা নিয়ে দিল্লিতে প্রতিনিয়ত চলছে আলোচনা। এআইসিসি চাইছে দ্রুত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির নাম ঠিক করে ফেলতে।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ঠিক করতে চলতি মাসে এআইসিসির সংগঠন সম্পাদক কেসি বেনুগোপাল রাজ্য কংগ্রেসের তিন সিনিয়ার নেতা আব্দুল মান্নান, প্রদীপ ভটাচার্য ও অধীর চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন। বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ নবীনদের থেকে সভাপতি করার মত দেন কেসি বেনুগোপালকে। তিনি হাইকমান্ডকে জানিয়েছিলেন, বিধায়ক নেপাল মাহাতো ও বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তীর মধ্যে যে কোনও একজনকে সভাপতির পদে বসানো হোক। আব্দুল মান্নান বেনুগোপালকে জানিয়েছেন চেনা মুখ থেকেই সভাপতি বাছতে। তবে তিনি নিজে প্রদেশ সভাপতির পদে বসতে চান না বলে জানিয়ে দেন। প্রদীপ ভটাাচার্য অবশ্য এআইসিসির সাধারণ সম্পাদককে বলেছিলেন দল যা দায়িত্ব দেবে তিনিই তাই করবেন।
শেষমেষ প্রদীপ ভটাচার্যকেই সভাপতির চেয়ারে বসানোর পরিকল্পনা প্রায় স্থির করেছে দিল্লি। তার কারন প্রদীপ ভটাচার্য বামেদের সঙ্গে একটা সখ্যতা তৈরি করতে পেরেছেন। বামেদের সিনিয়ার নেতৃত্বর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে দড়কষাকষি করতে পারবেন। অন্যদিকে তৃণমূলের সঙ্গেও প্রয়োজনে সখ্যতা করতে তাঁর সময় লাগবে না। বিগত রাজ্য সভার ভোটে তৃণমূলের ভোট আদায় করে দ্বিতীয়বার রাজ্য সভায় গিয়েছেন প্রদীপ ভটাচার্য।
তাছাড়া এর আগে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তিনি ছিলেন। তাই নতুন করে তাঁকে সাংগঠনিক জেলার নেতৃত্বদের আর চিনতে হবে না। তাই ২০২১ এর দিকে তাকিয়ে প্রদীপ ভটাচার্যর উপর ভরসা রাখতে চাইছে দিল্লি।

