আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগনা, ২১ জানুয়ারি:
হিন্দু মহিলার দান করা জমিতে মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তরের কার্যালয়ের বিল্ডিং তৈরি করাকে কেন্দ্র করে সোমবারও সকাল থেকে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে উত্তর ২৪ পরগণার গোবরডাঙ্গার নকপুল এলাকা।
সোমবার সকাল থেকে কয়েকশো গ্রামবাসী ভবন ভাঙ্গচুর শুরু করে এবং পরে ঘটনার প্রতিবাদে বনগাঁ-বসিরহাট সড়ক অবরোধ করা হয়। অবরোধ করে হাবড়া- বসিরহাট সড়ক। রাস্তায় টায়ার ও কাঠে আগুন ধরিয়ে কাঠের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করা হয়। পরে হাবড়া ও গোবরডাঙ্গা থানার পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করে। ওই ঘটনায় রাতভর তাল্লাশি চালিয়ে তিন মহিলা সহ ২১ জন গ্রামবাসীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার তাদের বারাসাত আদালতে তোলা হলে জামিনে ছাড়া পায়।
অভিযোগ ভবনটি নির্মাণের সময় স্থানীয় বাসিন্দাররা ভবনটি কি করা হচ্ছে জানতে চাইলে আধিকারিকরা জানায় অনুষ্ঠানের জন্য ভবন এবং মার্কেট তৈরি হচ্ছে। পরে দেখা যায় ভবনের সামনে লেখা “সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তরের কার্যালয়। এরপর এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাররা জানায়, আজ থেকে ২০ বছর আগে উত্তরাধিকারহীনা এক বৃদ্ধা তার সম্পত্তি স্থানীয় গ্রামবাসীদের উপস্থিতিতে পঞ্চায়েতকে দানপত্র করে দিয়ে যান। বৃদ্ধার ইচ্ছা প্রাকাশ করে লিখে যান তাঁর মৃত্যুর পরে ওই জমিতে একটি ছোট্ট মন্দির তৈরী করার জন্য ও একটি কারিগরী স্কুল বা গার্লস স্কুল তৈরি করুক সরকার। দানপত্র করা জমির ১০০ মিটারের মধ্যেই ভারত সেবাশ্রমের ও বিবেকানন্দ মঠের অফিস। বৃদ্ধার মৃত্যু পর পঞ্চায়েতের ক্ষমতায় বর্তমানে রাজ্যের শাসক দল। অনেক দিন ধরে ওই জমিতে বড়ো বিল্ডিং তৈরী হচ্ছে। এলাকার সকলেই জানেন ওখানে কারিগরী স্কুল তৈরী হচ্ছে। ভয়ানক কান্ড ঘটল সোমবার। বিল্ডিংয়ে সংখ্যালঘু ও মাদ্রাসা কেন্দ্রের বোর্ড দেখে এলাকার মানুষের ক্রোধ বেড়ে দেয়। এখনও প্রতিবাদ চলছে। তাঁদের দাবি গোবরডাঙ্গার হাসপাতাল বন্ধ হতে বসেছে। এই জমিতে হাসপাতাল তৈরি করা হোক।