আমাদের ভারত, ২৭ ফেব্রুয়ারি: বুধবার শেষ হয়েছে মহাকুম্ভ। কোটি কোটি মানুষ এবার এসেছিলেন কুম্ভে। মেলা শেষ হবার পরই কলম ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী। এত বড় ধর্মীয় সমারোহকে সফলভাবে সমাপ্ত করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারকে। এই মেলা আয়োজন করা ও সফলভাবে সম্পন্ন করা যে কঠিন ছিল তা মেনে নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। একই সঙ্গে ক্ষমা চেয়েছেন গঙ্গা যমুনা-সরস্বতী ও সাধারণ মানুষের কাছেও।
১৪৪ বছর পর মহাকুম্ভ অনুষ্ঠিত হলো এবার প্রয়াগরাজে। দীর্ঘ ৪৫ দিন ধরে একতার মহাযজ্ঞ পরিচালনার জন্য প্রধানমন্ত্রী ধন্যবাদ জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে। কিন্তু তিনি ক্ষমা চেয়েছেন গঙ্গা যমুনা-সরস্বতী ও সাধারণ মানুষের কাছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সমাজের মাধ্যমে লিখেছেন, মহাকুম্ভ শেষ হলো। এত বড় আয়োজন করা সহজ ছিল না। যেভাবে কোটি কোটি মানুষ ৪৫ দিনের মধ্যে এক জায়গায় সমবেত হলেন, মিলেমিশে থাকলেন তা শিক্ষণীয়। কুম্ভ শেষ হওয়ার পর মাথায় যে ভাবনা চিন্তা এসেছে তা যত দূর সম্ভব তুলে ধরার চেষ্টা করছি। এত বড় আয়োজন করলে সবার মন জেতা সম্ভব নয়। কুম্ভে এসে কেউ বিপদে পড়লে, অসুবিধার মুখোমুখি হলে তার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, “এত বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা সহজ নয়। মা গঙ্গা- যমুনা-সরস্বতীকে প্রার্থনা করে বলেছি আমাদের পুজোয় কোনো খামতি থাকলে ক্ষমা করে দেবেন।”
তিনি লিখেছেন, সাধারণ মানুষকেও তিনি ভগবানের চোখে দেখেন। তাই পুণ্যার্থীদের ঈশ্বর বলে অভিহিত করে লিখেছেন “যদি পুণ্যার্থীদের সেবায় কোনো খামতি থেকে থাকে তবে আমাদের ক্ষমা করে দেবেন। আমি সাধারণ মানুষের কাছেও ক্ষমা চাইছি।”
তিনি জানান, কুম্ভ এখন গবেষণার বিষয় হয়ে উঠেছে। মহাকুম্ভে ভক্তদের ব্যাপক অংশগ্রহণ শুধু একটি রেকর্ড নয়, এটি আমাদের সংস্কৃত ও ঐতিহ্যকে শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ করেছে। কুম্ভ এখন গবেষণার বিষয় হয়ে উঠেছে। ধর্ম- বর্ণ নির্বিশেষে কুম্ভ সমাবেশ পরিপূর্ণতা পেয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। এই মহাযজ্ঞে সমাজের সর্বশ্রেণির প্রতিটি ক্ষেত্রের মানুষ অংশগ্রহণ করেছে। “এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত” এর এক অবিস্মরণীয় দৃশ্য দেখা গেছে।
কুম্ভের স্মৃতি মনে করে তিনি লিখেছেন, “আমি সেই ছবিগুলো ভুলতে পারছি না। ডুব দেওয়ার পর যে মুখ গুলির মধ্যে অনাবিল আনন্দ আর পরিতৃপ্তি দেখেছি।”