আমাদের ভারত,১৭ ফেব্রুয়ারি: রাজ্যসভায় বিরোধীদের ক্ষমতা আরো কমতে পারে। কারণ চলতি বছরে ৬৮টি আসন খালি হবে রাজ্যসভায়। সেই খালি হওয়া আসনগুলিতে পুনরায় নির্বাচন হলে কংগ্রেস নিজের বেশ কিছু আসন হারাতে পারে। অন্যদিকে আসন বাড়াতে পারে বিজেপি জোটের।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, বেশকিছু রাজ্যে কংগ্রেসের ক্ষমতা কমার কারণেই সংসদের উচ্চকক্ষে নিজেদের দখলে থাকা ১৯টি আসনের মধ্যে ৯টি আসন হারাতে পারে কংগ্রেস। তবে এই পরিস্থিতিতে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং রণদীপ সুরজওয়ালার মত কংগ্রেসের প্রথম সারির বেশ কয়েকজন নেতাকে রাজ্যসভায় পাঠানোর চিন্তাভাবনা করছে দল বলে জানা গেছে।
নিজের ক্ষমতার উপর নির্ভর করে সর্বোচ্চ দশটি আসন নিশ্চিত করতে পারবে কংগ্রেস বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। এছাড়া সহযোগীদের সাহায্যে আরও একটি অথবা দুটি আসন আরও জিততে সক্ষম হতে পারে কংগ্রেস। এছাড়া যে সমস্ত রাজ্যে কংগ্রেস একক ভাবে ও জোটে ক্ষমতায় আছে যেমন ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং মহারাষ্ট্রে থেকেও কিছু আসুন তারা দখলে রাখতে পারে। কিন্তু কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, অসম মেঘালয়ের আসন কংগ্রেসের হাতছাড়া হবে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী এপ্রিল, জুন, নভেম্বরে ৬৮টি আসন খালি হলে বিরোধীদের ক্ষমতা বেশ খানিকটা কমতে পারে। আর এরফলে ক্ষমতা বাড়তে পারে এনডিএর। তারা রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার অত্যন্ত কাছাকাছি চলে যেতে পারে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। রাজ্যসভার ৫১টি আসন এপ্রিলে খালি হবে, জুনে ৫টি, জুলাইয়ে ১টি, নভেম্বরে ১১টি। কংগ্রেসের বেশকিছু বরিষ্ঠ নেতাদের রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে কার্যকালের মেয়াদ শেষ হবে।
উত্তরাখন্ড এবং উত্তরপ্রদেশে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় রয়েছে তাই এই সব রাজ্য থেকে বিজেপি বড় সুবিধা পাবে। উত্তরাখান্ড থেকে একটি এবং উত্তর প্রদেশ থেকে ১০টি আসন নভেম্বরে খালি হবে। মহারাষ্ট্র থেকে ৬টি আসন খালি হবে যার মধ্যে এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ারও রয়েছেন। এছাড়া তামিলনাড়ু থেকেও ৬টি আসন খালি হবে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার থেকে ৫টি করে এবং গুজরাট, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে ৪টি করে আসন খালি হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, কংগ্রেস রাজস্থানে খালি হওয়া তিনটের মধ্যে দুটি আসনে নিজের ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে, মধ্যপ্রদেশে ধরে রাখতে পারবে তিনটির মধ্যে দুইটি। কিন্তু কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, মেঘালয় এবং অসমের আসনগুলি হাত ছাড়া হতে চলেছে কংগ্রেসের। আর সেখানে ওই আসনগুলি দখল করতে পারে দেশে ক্ষমতাসীন এনডিএ জোট।
রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ বিলগুলি পাশ করাতে বিজেডির মত একাধিক মিত্র দলের উপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু নিকট ভবিষ্যতেই সেই নির্ভরতার পরিমাণ কমবে বিজেপি জোটের,বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
বর্তমানে রাজ্যসভায় বিজেপির কাছে রয়েছে ৮২ জন সদস্য এবং কংগ্রেসের ৪৬ জন সদস্য। সংসদের মোট আসন সংখ্যা ২৪৫। রাজ্যসভায় ১২ জন মনোনীত সদস্য। এরমধ্যে ৮ জন বিজেপির সঙ্গে যুক্ত।