আমাদের ভারত,১৩ ফেব্রুয়ারি: শুধু পরিবেশ স্বচ্ছ করাই নয় এবার সময় এসেছে দেশের রাজনীতিকেও স্বচ্ছ করার। দুর্নীতিবাজ,দুর্বৃত্ত নেতাদের জনপ্রতিনিধি করার আগে এবার রাজনৈতিক দলগুলিকে ভাবতেই হবে। যে সব প্রার্থীদের ফৌজদারি অপরাধের রেকর্ড আছে এবার থেকে দলের ওয়েবসাইটে সেই সব অপরাধ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য দিতে হবে সংশ্লিষ্ট দলকে। এমনটাই নির্দেশ দেশের শীর্ষ আদালত। শেষ চারটি জাতীয় পর্যায়ের নির্বাচনে অপরাধের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে সে কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
এবার থেকে মনোনয়নের অন্তত ৪৮ ঘন্টা আগে দলীয় প্রার্থীদের অপরাধের রেকর্ড দলের ওয়েবসাইটে দিতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, এবার থেকে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলকে বিস্তারিতভাবে জানাতে হবে দলীয় নেতা প্রার্থীদের সেইসব অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদৌ কোনো শাস্তি হয়েছিল কিনা। তবে শুধু দলীয় ওয়েবসাইটেই নয় সংবাদমাধ্যম তথা সোশ্যাল মিডিয়াতেও বিস্তারিত জানাতে হবে নেতা- প্রার্থীদের দুর্বৃত্তায়নের পুঙ্খানুপুঙ্খ রিপোর্ট।
আর সেই রকম কাউকে যদি নির্বাচনে প্রার্থী করা হয়, তাহলে কেন তাকে প্রার্থী করা হলো তার ব্যাখ্যাও ওয়েবসাইটে সংশ্লিষ্ট দলকে দিতে হবে। সেক্ষেত্রে ঐ প্রার্থীর ভোটে জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে এই যুক্তিগ্রাহ্য হতে পারে না। বিচারপতি স্পষ্ট বলেছেন জয়ের সম্ভাবনাই প্রার্থী বাছাইয়ের একমাত্র মাপকাঠি হতে পারে না। বরং প্রার্থী বাঁচতে হবে তার গুণ বিচার করে।
শীর্ষ আদালত আরও বলেছে, যদি কোন রাজনৈতিক দল এই নির্দেশ অমান্য করে বা নির্বাচন কমিশন সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা না নেয় তবে তা আদালত অবমাননা হিসেবে গণ্য হবে। আইনজীবী অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায় ও অন্যান্যদের দায়ের করা আদালত অবমাননা সংক্রান্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে এই রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এর আগে ২০১৮-র সেপ্টেম্বর-এ সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ, অপরাধের সঙ্গে যুক্ত এমন কাউকে দলে অন্তর্ভুক্তিকরণ ও ভোট প্রার্থী করা বন্ধ করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি আইন প্রণয়ন করতে নির্দেশ দিয়েছিল। যা এখনও বাস্তবায়ন করা হয়নি। নির্বাচন কমিশনে আদালত আগেই জানিয়েছিল, বর্তমান সাংসদদের ৪৩ শতাংশের অপরাধের রেকর্ড রয়েছে।