ঐশীর নেতৃত্বে মুখোশ পরে বাম ছাত্ররা হোস্টেলে হামলা করেছিল, বলল দিল্লি পুলিশ

আমাদের ভারত,১০ জানুয়ারি: জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষের নেতৃত্বে হোস্টেলে হামলা চালিয়েছিল বাম ছাত্ররা। তদন্তের পর ছবি প্রকাশ করে বলল দিল্লি পুলিশ।

দিল্লি পুলিশের ডিসিপি জানান, ৫ জানুয়ারি দুপুর পৌনে চারটে নাগাদ পেরিয়ার হোস্টেলে হামলা চালিয়েছে একদল দুষ্কৃতী। তাদের মধ্যে ছিলেন জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী–ও। পুলিশ জানিয়েছে, ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া। প্রথম থেকেই চারটি বাম সংগঠন এসএফআই, এআইএসএফ, এআইএসএ ও ডিএসএফ তাতে বাধা দেয়। ভাঙ্গচুর চালানো হয়েছিল সার্ভার রুমে। যে ছাত্ররা রেজিস্ট্রেশন করতে চেয়েছিল তাদের ভয় দেখানো হয়েছিল।

মুখ ঢাকা ছাত্র-ছাত্রীদের শনাক্ত করেছে দিল্লি পুলিশ। বলা হয় হামলার সময় একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হয়। কয়েকজনের নাম এদিন প্রকাশ করেছে দিল্লি পুলিশ। তাদের বেশিরভাগই বামপন্থী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। চুনচুন কুমার, পঙ্কজ মিশ্র, ঐশী ঘোষ, ভাস্কর বিজয়, সুচেতা তালুকদার, প্রিয়া রঞ্জন, দোলন সাবন্ত, যোগেন্দ্র ভরদ্বাজ ও বিকাশ প্যাটেল। যোগেন্দ্র ভরদ্বাজ ও বিকাশ প্যাটেল এবিভিপি সদস্য। ডিসিপি জানিয়েছেন।

৫ জানুয়ারি দুপুর পৌনে চারটা নাগাদ পেরিয়ার হোস্টেলে মুখ ঢেকে যারা হামলা চালিয়েছিল তাদের মধ্যে ছিল ঐশী। ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় জেএনইউ ক্যাম্পাসে হামলা চালায় একদল মুখোশধারী। ঘটনায় গুরুতর জখম হন ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী সহ ৩৬ জন পড়ুয়া ও অধ্যাপক। ডিসিপি জানান ১- ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া নিয়ে ঝামেলা শুরু। বড় সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন করাতে চেয়েছিল কিন্তু তাদের বাধা দিয়েছিল বাম ছাত্ররা।

দিল্লি পুলিশের মুখপাত্র তার আগে জানান, হিংসার তদন্ত করছে ক্রাইম ব্রাঞ্চ। গোটা ঘটনায় একাধিক বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে। যদিও ৫ জানুয়ারি ক্যাম্পাসে হিংসার ঘটনায় এবিভিপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিল বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *