পরীক্ষাকেন্দ্রে যাবার গাড়ি নেই, কান্নায় ভেঙ্গে পড়া স্কুল ছাত্রীকে পৌঁছে দিল পুলিশ কাকু

আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ১২ মার্চ: পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌছাবার গাড়ি না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ল স্কুল ছাত্রী। পাশে দাঁড়াল মানিবিক পুলিশ। বৃহস্পতিবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিনে সঠিক সময়ে গাড়ি না পেয়ে রাস্তার ধারে বসে কান্নাকাটি শুরু করে বেবী দাস নামে এক স্কুল ছাত্রী। যা দেখেই পতিরাম ফাঁড়ির পুলিশ তড়িঘড়ি তাঁকে জিপে বসিয়ে নিয়ে যায় পরীক্ষা কেন্দ্রে। কিছুটা দেরি হলেও পুলিশি তৎপরতায় পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌছে সঠিক ভাবে পরীক্ষা দিতে পারায় পতিরাম ফাঁড়ির পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ওই পরীক্ষার্থী। বিপদে পড়া ওই স্কুল ছাত্রীকে সঠিক সময়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌছে দেওয়ার এমন ততপরতাকে সাদুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয়রাও।

পুলিশ জানায়, কুমারগঞ্জের খরাইলের বাসিন্দা বেবী দাস বাউল পরমেশ্বর হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। এবারে তাঁর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সিট পড়েছিল পতিরাম হাইস্কুলে। এদিন পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছানোর আগে টোটো ধরে বাড়ি থেকে বাউল এসে পৌছান বেবি দাস নামে ওই স্কুল ছাত্রী। সেখান থেকেই পতিরামে আসার কোন বাস পাচ্ছিল না সে। এদিকে সময় পেড়িয়ে যাওয়ায় পরীক্ষায় না বসতে পারার আশঙ্কায় রাস্তায় দাড়িয়ে কান্নাকাটি শুরু করে দেয় ওই স্কুল ছাত্রী। এলাকা দিয়ে যাবার সময় বিষয়টি লক্ষ্য করেন পতিরাম ফাঁড়ির ওসি দেবব্রত মিশ্র। ছাত্রীর সাথে কথা বলে তাঁকে পুলিশের জিপে করে তড়িঘড়ি পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেন ওসি। শুধু তাই নয়, পরীক্ষা শেষে পুনরায় তাঁকে গাড়িতে করে বাড়ি পৌঁছে দেবার ব্যবস্থাও করে পতিরাম ফাড়ির পুলিশ।

ছাত্রী বেবী দাস জানিয়েছেন, সঠিক সময়ে গাড়ি না পাওয়ায় পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। তাই কিছুটা দুশ্চিন্তায় চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে এসেছিল। কিন্তু পুলিশের সহায়তায় সঠিক ভাবে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌছতে পেরেছেন তিনি। পরীক্ষা শেষেও পুলিশ তাঁকে গাড়িতে করে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছে। পুলিশের ততপরতার জন্যই আজ পরীক্ষায় বসতে পেরেছেন তিনি।

পরিতাম ফাঁড়ির ওসি দেবব্রত মিশ্র জানিয়েছেন, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাকে ঘিরে নজরদারি চালাচ্ছিলেন এলাকায়। সে সময় নজরে আসে ওই স্কুল ছাত্রীকে রাস্তায় বসে কাঁদতে দেখার বিষয়। ঘটনা জানতেই তড়িঘড়ি গাড়িতে বসিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌছানো হয় ওই ছাত্রীকে। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ায় ভয়ে কাদতে শুরু করেছিল সে। এদিন পরীক্ষা শেষে তাঁকে বাড়িতেও দিয়ে আসা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *