সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা, ৬ জানুযারি: হাজার বিপদের মধ্যেও সন্তানকে ফেলে কখনও পালাতে পারেন না মা। কিন্তু বাস্তবে যেন তার ঠিক উলটোটাই ঘটল। চোখের সামনেই মেয়ের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেও ঘরের দরজা বন্ধ করে হাওড়া স্টেশনে চলে গিয়েছিলেন মা নীলম ধনানি। ২০১৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর নিউ আলিপুরের সাহাপুর কলোনির ঘটনা। সেই মায়ের কাছ থেকে তথ্য পেয়েই ১৫ দিন পর ওই ফ্ল্যাট থেকেই গাড্ডেন ধনানি (২৫) নামে মেয়েটির পচাগলা দেহ উদ্ধার করল নিউ আলিপুর থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২৩ ডিসেম্বর মা ও মেয়ের মধ্যে পারিবারিক কোনও বিষয় নিয়ে বচসা হয়েছিল বলে প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ। তার পরেই নীলম ধনানি দেখেন, তাঁর মেযে ঘরের মধ্যে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মেয়ে যে আত্মহত্যা করেছে, তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি মায়ের। কিন্তু কি করা উচিত, তা বুঝতে না পেরে সোজা হাওড়া স্টেশনে চলে যান তিনি। সেখান থেকে বিহারের কাটিহার যাওয়ার কথাও ভেবেছিলেন। কিন্তু আচমকাই অসুস্থ হয়ে স্টেশনে পড়ে যান। হাওড়া জিআরপি তাকে ভর্তি করে হাওড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে।
সোমবার ১৫ দিন পর নিজের জামাইবাবু বিজয় খটনানিকে হাসপাতাল থেকে ফোন করে পুরো বিষয়টি জানান। বিজয়বাবু নিউ আলিপুর থানার পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তার পরে মেয়ের পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। কেন এবং কিভাবে এই ঘটনা ঘটল, মা-ই কি মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছিলেন, তা জানতে নীলমদেবীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি মৃত্যুর কারণ জানতে মৃতদেহের মযনাতদন্তও করা হচ্ছে।