বনগাঁ সীমান্তে অবাধ্যদের কানধরে উঠবস করিয়ে, হামাগুড়ি দিয়ে ঘরে পাঠাচ্ছে পুলিশ

আমাদের ভারত, বনগাঁ, ২৫ মার্চ: চিকিৎসকদের পাশাপাশি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে পঞ্চমুখ সব মহলই। উত্তর ২৪ পরগনা সহ সমস্ত জেলায় চিত্রটা একই। এতদিন বনগাঁ মকুমার পুলিশ আধিকারিকরা হাত জোড় করে মানুষদের জানিয়েছেন লকডাউন ভাঙবেন না। তাতেও কান দেয়নি আমজনতা। তাই বুধবার সকাল থেকে বনগাঁ বাটার মোড়, বনগাঁ, কালীবাড়ি সহ বাগদা রোডে নাকা চেকিং করে। অবাধ্যদের ঘরে ফেরাতে লাঠি চার্জ করতে বাধ্য হয় পুলিশ।

এদিন দেখা গেল কোথাও কান ধরে উঠবোস, কোথাও হামাগুড়ি দিয়ে ঘরে পাঠাচ্ছেন অবাধ্য মানুষদের। কেউ কেউ আবার বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন পুরনো ডাক্তারি প্রেসক্রিপশন নিয়ে। ওষুধ কেনার নাম করে বাইক নিয়ে অলিগলিতে ঘুরে বেরাচ্ছে। স্থানীয় এক গৃহবধূ অনিতা রায় বলেন, পুলিশের কাজ পুলিশ করছেন। অবাধ্য মানুষদের জন্য উচিৎ কাজ করছেন বনগাঁ থানার পুলিশ। তারা ঘর বাড়ি ছেড়ে আমাদের বাঁচাতে নিজেদের জীবন বিপন্ন করে রাস্তায় পাহাড়া দিচ্ছে। এরপরও মানুষ যদি কথা না শোনে পুলিশেরও কিছু করার থাকবে না।

বনগাঁর এসডিপিও অশেষ বিক্রম দস্তিদার, বনগাঁ থানার আইসি বলেন, বারবার মানুষকে হাত জোড় করে অনুরোধ করেছি। লকডাউন ভাঙবেন না। লকডাউন অমান্য করে অযথা রাস্তায়, বাজারে ভিড় করছেন। আমরা বনগাঁর আপামোর মানুষের কাছে আবেদন জানাই অকারণে বাড়ি থেকে বের হবেন না। তিন দিনের বাজার এক দিনে করে নিয়ে বাড়ির গেটে তালা মেরেদিন। বাড়ির ছোট বাচ্চাদের বাইরে বেরতে দেবেন না। অন্যদিকে বাইরে থেকে আসা শ্রমিকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন আশা কর্মীরা। কারও কোনও সমস্যায় ঝাঁপিয়ে পড়ছে পৌরপ্রধানের কর্মীরা।

বনগাঁর চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য বলেন, মানুষের পাশে আমরা সব সময় আছি। কারও কোনও সমস্যা হলে ফোন করুন। আমাদের কর্মীরা চলে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *