আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ৩ অক্টোবর: দেগঙ্গা খুনের ঘটনার কিনারা করল পুলিশ। খুনের ঘটনার প্রায় একমাস পর বর্ধমান থেকে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার খুনে অভিযুক্ত দুষ্কৃতী সাইফুল আরিফ।
দেগঙ্গায় এক ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার অভিযুক্ত দুষ্কৃতী সাইফুল আরিফ। বারাসাতে জেলা পুলিশ সুপার অভিজিত বন্দোপাধ্যায় তাঁর নিজের দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানালেন। বারাসাত জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গত সেপ্টেম্বর মাসের ২ তারিখ দেগঙ্গা থানার অন্তর্গত নন্দীপাড়া এলাকায় আব্দুল শরিফুল মল্লিক নামে এক ব্যক্তিকে তাঁর বাড়ির পাশের আমবাগান থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ওই ব্যক্তির পরিবারের অভিযোগ, কোন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি ফোন করে শরিফুল মল্লিককে বাড়ির পাশের আমবাগানে ডেকে পাঠায়। ফিরতে দেরি হলে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজির পর দেখে, আমবাগানে রক্তাক্ত অবস্থায় শরিফুল মল্লিক পড়ে রয়েছে। দেহে একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল।
এরপর বারাসাত জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় শরিফুলকে, তার অবস্থার অবনতি হলে কলকাতা আরজিকর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ৮ সেপ্টেম্বর শরিফুল মল্লিক মারা যায়। মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ তদন্তে নামে। একমাস পর শেষমেষ অভিযুক্ত পুলিশের হাতে ধরা পড়ল। জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মৃত ব্যক্তির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নেমে একমাস পর বর্ধমান থেকে অভিযুক্ত সাইফুল আরিফ নামে ওই দুষ্কৃতিকে গ্রেফতার করে। টাকার দেনাপাওনা সংক্রান্ত বিবাদের জেরে এই খুন বলে পুলিশ মনে করছে। জিজ্ঞাসাবাদে খুনের ঘটনা স্বীকার করেছে ধৃত সাইফুল আরিফ। ধৃতকে পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এই ঘটনা আর কেউ জড়িত আছে কিনা, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।