এনআরসি নিয়ে আতঙ্ক তৈরি করতে বাড়ি বাড়ি চিঠি দিচ্ছে পুলিশ, অভিযোগ বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের

আমাদের ভারত, কোচবিহার, ৫ ফেব্রুয়ারি: এনআরসি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয় সৃষ্টি করছে পুলিশ। আজ কোচবিহারে এমনই গুরুতর অভিযোগ করলেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিজেপি জেলা কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, সাধারণ মানুষ এবং বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে এনআরসি নিয়ে চিঠি দিচ্ছে কোচবিহার জেলা পুলিশ। তাঁর অভিযোগ, চিঠিতে বলা হচ্ছে আপনি বাংলাদেশি এবং নিজেকে ভারতীয় প্রমাণ করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে পুলিশ সুপারের অফিসে এসে দেখা করুন। সম্প্রতি কোচবিহারের ঘোকসাডাঙ্গা এলাকায় বেশকিছু বিজেপি কর্মীর বাড়িতে এই ধরনের চিঠি পৌঁছেছে। আজ সাংবাদিক বৈঠকে তেমনই দুটি চিঠি দেখান বিজেপি নেতা। রাজু বন্দোপাধ্যায়ের দাবি, এনআরসি সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ এই কাজ করছে। এই ঘটনার তিনি বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন, পাশাপাশি এই ঘটনার প্রতিবাদে জেলা জুড়ে আন্দোলন কর্মসূচি নেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলার রাজনীতিতে, পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠলেও জেলার পুলিশ সুপার সন্তোষ নিম্বালকার এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি। রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন “সিএ এ এবং এনআরসি নিয়ে মমতা ব্যানার্জি যে আন্দোলন করেছে তা সাধারণ মানুষের সমর্থন পাচ্ছে না, তাই পুলিশের সহযোগিতায় তিনি সাধারণ মানুষকে ভয় দেখানোর পথে হাঁটছেন,”। এই ঘটনা নিয়ে তদন্তের পাশাপাশি তিনি জেলা পুলিশ সুপার এর পদত্যাগের দাবি করেছেন।তার অভিযোগ সম্পূর্ণ কলকাতার নির্দেশে এই কাজ করা হচ্ছে মানুষের মধ্যে এনআরসি নিয়ে আতঙ্ক তৈরি করার উদ্দেশ্যে।

যদিও এই বিষয়ে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন ” এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় একটি ফালতু মানুষ, তার ফালতু কথায় জবাব দেওয়ার মত সময় নেই,”।

বুধবার কোচবিহারের ভবানীগঞ্জ বাজার সিএএ’র সমর্থনে প্রচার করেন বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্য জেলা নেতারা। এদিন প্রচারে সাধারণ মানুষসহ এলাকার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *