আমাদের ভারত, মালদা, ৭ ডিসেম্বর: মালদায় যুবতীকে ধর্ষণের পর খুন করে তাঁকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় তথ্য গোপন করছে পুলিশ। পরিবারের কথা জানতে পারলেও তা গোপন রাখছে। মালদায় এসে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। এই ঘটনায় পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েও তাঁর দেখা পাননি বিজেপি সাংসদ।
আজ সকালে মালদায় আসেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি প্রথমেই যান মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। হরিশ্চন্দ্রপুর যে তিন বছরের শিশুকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। হাসপাতালে সুপারের সঙ্গে কথা বলেন।
সেখান থেকে তিনি সোজা চলে যান কোতোয়ালি থানার আমবাগানে, যেখানে এক অপরিচিত যুবতীর অর্ধনগ্ন অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল। সেখানে তিনি এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। এলাকার মানুষ তাঁর কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা দোষীদের চরম শাস্তির দাবি জানান। সেখান থেকে লকেট চট্টোপাধ্যায় বিজেপি পার্টি অফিসে যান। সেখানে ওই যুবতীর খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে মিছিল করেন মিছিল করেন। এরপর তিনি জানান পুলিশ সুপারের অফিসে।
কথা ছিল সাড়ে এগারোটার সময় পুলিশ সুপার তার সঙ্গে দেখা করবেন। সেই মতো তিনি সেখানে পৌঁছে যান, কিন্তু গিয়ে জানতে পারেন, পুলিশ সুপার জরুরী কাজে বাইরে চলে গেছেন। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের ঘরে ঢুকে যান এবং সেখানে গিয়ে তার ঘরে ঢুকে যান তার সঙ্গে বিজেপি কর্মীরা এবং অতিরিক্ত পুলিশ অরিন্দম সরকারের ঘরে গিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। পরে পুলিশ সুপারের অফিসের সামনেই তিনি একটি জনসভা করেন।
সাংবাদিকদের বলেন, জেলায় এত বড় একটা ঘটনা ঘটল, আমি একজন সাংসদ, পুলিশ সুপারের দপ্তরে আসলাম, কিন্তু তিনি দেখা করার প্রয়োজন বোধ করলেন না। এর থেকে বোঝা যায় তিনি মানুষের সাথে কেমন ব্যবহার করেন। তিনি বলছেন, আমি আপনার সাথে দেখা করতে বাধ্য নই। পুলিশ রাজ্যের মহিলাদের নিরাপত্তা দেবে না। কেবল মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা দেবে? তিনি বলেন, আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। পুলিশ বিচার করল না, জানি বিচার পাওয়া যাবে না।
এর পরেই তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, যুবতী খুনের ঘটনায় তথ্য গোপন করছে পুলিশ। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ যুবতীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তাদের আড়াল করে রেখেছে। তাদের সামনে আনছে না।
আমাদের আন্দোলন চালাতে হবে। এই রাজ্যের তৃণমূল সাংসদরা হায়দ্রাবাদ নিয়ে বড় বড় কথা বলেন। কিন্তু মালদা নিয়ে মুখ খুললেন না। মুখ্যমন্ত্রী তো বলেই দিয়েছেন ধর্ষণ হয়নি। দুদিন পর বলবে নিজেই আত্মহত্যা করেছে। মৌসুম নূর তৃণমূলের গিয়েছে। কিন্তু নির্যাতিতা শিশু পরিবারের সাথে দেখা করার প্রয়োজন বোধ করেননি। আমাদের আন্দোলন চলবে বলে দাবি করেন লকেট চট্টোপাধ্যায়।