ছবি: যুগ্ম পুলিশ কমিশনার অজয় ঠাকুর।
আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ২ ডিসেম্বর : ভাটপাড়া সমবায় ব্যাংক দুর্নীতি ইস্যুতে আইন মেনেই পুলিশ তদন্ত করছে, সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দিলেন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার অজয় ঠাকুর। এদিন অজয় ঠাকুর অভিযোগের সুরে বলেন, ভাটপাড়া সমবায় ব্যাংক প্রতারণা মামলায় সাংসদ অর্জুন সিংকে পুলিশের সঙ্গে দেখা করতে বলা হলেও তিনি এই মামলায় পুলিশের সঙ্গে দেখা করেননি।
সম্প্রতি ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং ভাটপাড়া সমবায় ব্যাংক প্রতারণা মামলা ইস্যুতে সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, “ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ আইন মেনে কাজ করছে না। যারা ব্যাংক প্রতারণা মামলা করেছিল, তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়ে মমলা তুলে নিতে চাইলে পুলিশ সেই সব মামলাকারীদের বাড়িতে নোটিশ পাঠিয়ে তাদের হেনস্থা করছে। আমি বিষয়টি রাজ্যপালের নজরে এনেছি।”
ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ভাইপো সঞ্জিত সিং ওরফে পাপ্পুর বিরুদ্ধে সমবায় ব্যাংক প্রতারণার মামলা করেছিলেন সতীশ দাস, রাহুল বৈদ্য ও সন্তোষ বৈদ্য। এরপর তিনজনই এই মামলা তুলে নেওয়ার আবেদন করেন আদালতের মাধ্যমে। এরপরও ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনাররেটের গোয়েন্দা বিভাগের অফিসাররা ওই তিনজনকে সমন পাঠিয়েছে। যা নিয়ে খোদ অর্জুন সিং রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। এরপর রাজ্যপাল টুইট করে আদালতের বিষয়ে পুলিশের হস্তক্ষেপ নিয়ে কড়া মন্তব্য করেছেন পুলিশের বিরুদ্ধে।
সাংসদের এই নিয়ে প্রেস মিটের পর শনিবার ব্যারাকপুর ডিডি অফিসে পাল্টা প্রেস মিট করেন ব্যারাকপুরের জয়েন্ট সিপি অজয় ঠাকুর। তিনি বলেন, “ভাটপাড়া নৈহাটি সমবায় ব্যাঙ্কের দুর্নীতি নিয়ে মোট চোদ্দ(১৪)টি মামলা হয়েছে। তার মধ্যে পাঁচজন মামলা তুলে নেবার আবেদন করেছিল আদালতে। তাদের বক্তব্য ছিল, তারা পুলিশকে যা বলেছিল, সেই মত অভিযোগ ছিল না মামলায়। ফলে পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের নোটিশ দিয়ে জানতে চাওয়া হয় কি পার্থক্য ছিল অভিযোগকারীর বয়ানের সঙ্গে পুলিশের অভিযোগ পত্রের। এই ব্যাংক প্রতারণা মামলায় একটি কেসে প্রাথমিক চার্জশিট জমা পড়ে গেছে। এই মামলায় পাঁচজন গ্রেফতার হয়েছিল। তারমধ্যে দুজন জামিন পেয়েছে। এই মামলায় নাম থাকা সাংসদকে তিনবার নোটিস পাঠালেও তিনি দেখা করেননি। তাই রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে যাতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবার ডাকা যায়। পুলিশ আইন মেনেই সব কাজ করছে।”