আমাদের ভারত, ১৩ জানুয়ারি:মোদী সরকার আগেই জানিয়েছিল যে কোনো জরুরি বা দুঃসময়ে দেশের যে কোন প্রয়োজনে পিএম কেয়ার ফান্ড কাজে লাগানো হবে। কিন্তু বিরোধীরা সেই যুক্তি মেনে নেয়নি। তারা বারবার পিএম কেয়ার ফান্ডে কত টাকা জমা পড়েছে, সেখান থেকে কত টাকা খরচ হচ্ছে, কোন খাতে কত টাকা খরচ হচ্ছে এমনি বহু প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু এখন সেই পিএম কেয়ার ফান্ডের টাকাই সহায় হচ্ছে দেশের মানুষের। এই তহবিলের টাকায় স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ভ্যাক্সিন কিনছে সরকার
লকডাউনে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এই তহবিলে অনুদান করেছিলেন। সেই অর্থ জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহার হবে বলে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু এই তহবিল নিয়ে বিতর্ক তৈরি হতে শুরু করে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে জরুরি সময় সরকারকে স্বস্তি দিতে পারে এই তহবিল। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী, সাফাই কর্মী, ও করোনিযোদ্ধাদের সবার আগে ভ্যাক্সিন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সরকার। এছাড়াও ৫০ বছরের উর্ধ্বে বয়স্ক ব্যক্তিদের টিকাকরণের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। এখন জানা যাচ্ছে তিন কোটি স্বাস্থ্যকর্মীর জন্য ভ্যাক্সিন কেনা হবে পিএম কেয়ার ফান্ডের তহবিল থেকে।
এর আগেও পিএমকেয়ার ফান্ড থেকে মাস্ক, পিসিই কীট, ভেন্টিলেটর কেনা হয়েছিল। আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে করোনার ভ্যাক্সিন দেওয়া শুরু হবে। সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন টিকা দেওয়া হবে। সেরামের তরফে জানানো হয়েছে প্রথম ১০ কোটি ভ্যাক্সিন সরকারকে ২০০ টাকা করে বিক্রি করবে তারা। কিন্তু খোলাবাজারে এই ভ্যাকসিন প্রায় পাঁচ গুণ বেশি দামে বিক্রি হবে। স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ভ্যাক্সিন কিনতে কেন্দ্রের মোট ৬০০ কোটি টাকা খরচ হবে। সরকার সেই টাকা পিএম কেয়ার ফান্ড থেকে নেবে হবে বলে জানা গেছে।