আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ২৩ মার্চ: বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের মতো “প্লাষ্টিক দ্রব্য বর্জন” সচেতনতার বার্তা নানা ভাবে প্রচার করা হচ্ছে। এর যথেচ্চ ব্যবহারে মাটির ওপর মোটা স্তর তৈরি করছে, জলজ প্রাণীরা খাচ্ছে, মাটির নিচে বৃষ্টির জল যেতে না পারায় জলের স্তর নেমে গিয়ে জলের সংকট দেখা দিচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে তা ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে। ১৪ মার্চ এসডিও অফিসের হলে ঝাড়গ্রাম মিউনসিপ্যালিটি সমস্ত বিদ্যালয়, লজ, হোটেল মালিক, রেস্টুরেন্ট, শিশু শিক্ষা ও নানা বিভাগের মানুষদের নিয়ে এক “গণ প্রচার ও অভিযোজন কর্মশালা” হয়েছে। উদ্দেশ্য মিশন নির্মল বাংলা গড়ে তোলা। আগে নিজেদের সচেতন হতে হবে সাথে পাশাপাশি মানুষদেরও সচেতন করে তুলতে হবে।কিন্তু নানা কারণে সচেতন মানুষ সমস্যা এড়াবার জন্য একটু সুবিধার জন্য এই ক্যারি ব্যাগ থেকে দূরে থাকতে পারছেন না।
এখন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে শিশুরা যাতে সংক্রমিত না হয় তাই বিদ্যালয় গুলি সরকারি নির্দেশ অনুসারে বন্ধ রয়েছে। মিড ডে মিলও বন্ধ রয়েছে সেই কারণেই। তাই পুনরায় ২১ ও ২৩ মার্চ বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল বাবদ ২ কেজি চাল ও ২ কেজি আলু প্রতি ছাত্র ছাত্রী পিছু দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এত সংখ্যক ছাত্রছাত্রীদের এই চাল ও আলু দেওয়ার সুবিধার জন্য যদি দুটি করেও প্লাস্টিকের ক্যারি ব্যাগ ব্যবহার করা হয় তাহলে একদিনে কত প্লাস্টিকের ক্যারি ব্যাগ ব্যবহার হয় তা ভাবলে শঙ্কিত হতে হয়। এইভাবে প্রতিনিয়ত কত প্লাস্টিকের ব্যাগ মাটিতে পড়ছে। ভাবলে আতঙ্কিত হতে হয়। সেখানে অশোক বিদ্যাপীঠ নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ের অভিভাবক অভিভাবিকাদের বাড়ি থেকে আলু ও চাল নিয়ে যাওয়ার জন্য পাত্র আনার অনুরোধ জানায়। স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের জানিয়েছিলেন, প্লাস্টিকের ভয়াবহতার কথা। করোনা ভাইরাসের সাথে প্লাষ্টিক দ্রব্য বর্জনের সচেতনতার বার্তা দিয়েছে অভিভাবকদের সবাইকে। একটু অসুবিধে সয়ে নিলে যদি দেশের বৃহৎ স্বার্থে উপকার হয় তাহলে ওইটুকু মেনে নেওয়াই যায় সহজে। তাই আগে নিজে সচেতন হব মেনে চলব তারপর অন্য মানুষদের ও মানতে সাহায্য করবো।অশোক বিদ্যাপীঠ নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয় তার চেষ্টা করেছে।