করোনার জন্য বনভোজন বন্ধ রায়গঞ্জের শিয়ালমণি অরণ্যে

স্বরূপ দত্ত, আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ২৪ ডিসেম্বর: রাজনৈতিক সমাবেশ থেকে শুরু করে মিটিং মিছিল, সরকারি বেসরকারি নানান অনুষ্ঠান চলছে অথচ কোভিডের কারণ দেখিয়ে এবার বনভোজন বন্ধ করে দিল প্রশাসন যা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে রায়গঞ্জের জনমানসে। প্রতিবছর রায়গঞ্জের কুলিক নদীর ধারে কুলিক পক্ষীনিবাস সংলগ্ন এলাকায় শিয়ালমণি অরণ্যে বনভোজনে আসেন বহু মানুষ। এবার মহামারি করোনার কারণে শিয়ালমণি অরণ্যে বন্ধ করে দেওয়া হল বনভোজন। রায়গঞ্জ ডিভিশনের বিভাগীয় বন আধিকারিক সোমনাথ সরকার জানিয়েছেন, মহামারি করোনার কারণে এবছর কোথাও কোনও ভিড় জমিয়ে অনুষ্ঠান করা যাবে না। সংক্রমণ প্রতিরোধে এই ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শিয়ালমণি অরণ্যের সামনে এবছর পিকনিক না করার আবেদন জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রতি বছর ২৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় রায়গঞ্জ কুলিক পক্ষীনিবাস সংলগ্ন শিয়ালমণি অরণ্যে বনভোজন। প্রায় গোটা জানুয়ারি মাস ধরে শয়ে শয়ে বনভোজনকারীদের দল এসে ভিড় জমান রায়গঞ্জের শিয়ালমণি অরণ্যে। শুধু রায়গঞ্জ বা উত্তর দিনাজপুর জেলাই নয়, মালদা, বালুরঘাট এমনকি শিলিগুড়ি থেকে বহু মানুষ বনভোজন করতে আসেন এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা শিয়ালমণি অরণ্যে। বনভোজনকে কেন্দ্র করে শিয়ালমণি এলাকায় বেশকিছু মানুষের রুটি রুজির ব্যবস্থাও হয়। কিন্তু অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছরটা একেবারেই অন্যরকম। মহামারি করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ভিড় এড়াতে বন্ধ করে দেওয়া হল শিয়ালমণি অরণ্যে বনভোজন।

যদিও স্থানীয় বাসিন্দা থেকে সাধারণ মানুষের অভিযোগ, করোনার কারণে পিকনিক করা বন্ধ করে দিয়েছে জেলা বনবিভাগ, অথচ সরকারি বেসরকারি নানান অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে রাজনৈতিক সভা সমাবেশ মিটিং মিছিল চলছে বিনা বাধাতেই। বছরের একটা দিন মানুষ পরিবার পরিজন আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধব নিয়ে বনভোজনের মাধ্যমে আনন্দ উপভোগ করেন সেটাও বন্ধ করে দিল প্রশাসন। পিকনিক বন্ধ করায় হতাশ ও ক্ষুদ্ধ হয়েছেন বাসিন্দারা।

উত্তর দিনাজপুরের ডিএফও সোমনাথ সরকার জানিয়েছেন, মহামারি করোনার কারণেই শিয়ালমণি অরণ্যে বনভোজন বন্ধ রাখা হয়েছে। মানুষকে সচেতন করতে বন বিভাগের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *