উত্তরবঙ্গের মানুষ দ্বিগুন উৎসাহে বিজেপিকে সমর্থন করবে, আলিপুরদুয়ারে এসে বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল

আমাদের ভারত, আলিপুরদুয়ার, ২২ ডিসেম্বর: “উত্তরবঙ্গের মানুষ লোকসভায় ভারতীয় জনতা পার্টিকে সমর্থন করে আগেই নিজেদের মতামত স্পষ্ট করে দিয়েছেন। আগামী বিধানসভাতেও উত্তরবঙ্গের মানুষ ভারতীয় জনতা পার্টিকে দ্বিগুন উৎসাহে সমর্থন করবার জন্য তৎপর হয়ে আছেন। এটা আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি।” একদিনের আলিপুরদুয়ার সফরে এসে এমনটাই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি ও পর্যটন দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল।

মঙ্গলবার দুপুর ১টায় আলিপুরদুয়ারে একদিনের সফরে আসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল। জেলাসদরে পৌছেই প্রথমে আলিপুরদুয়ার পৌরসভার ১১নং ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্থানীয় মানুষদের হাতে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রচারপত্র তুলে দেন মন্ত্রী। এরপর স্থানীয় একটি ভবনে দলীয় কর্মীদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন তিনি। পরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “আগামী বিধানসভা নির্বাচনবে উত্তরবঙ্গের মানুষ বিজেপি-কে সমর্থন করবেন সেটা আমি খালি চোখেই দেখতে পাচ্ছি। যারজন্য আমি উত্তরবঙ্গের মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ যে তারা উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের জন্য ভারতীয় জনতা পার্টির পাশে রয়েছেন। কিন্তু আমার দুঃখ এটা যে আমাদের সাংসদ বহু ভোটে জিতলেও রাজ্য সরকার এবং রাজ্যের প্রশাসন সাংসদদের উন্নয়নের কাজে সবরকমভাবে বাধা দিচ্ছে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলোর লাভ সাধারন গরিব মানুষ এবং কৃষকদের দিতে দিচ্ছে না, সেজন্য মিডিয়ার মাধ্যমে আমি মমতা সরকারকে বলছি, এই সরকার উন্নয়ন বিরোধী সরকার। এই সরকার ভ্রষ্টাচার ও লুঠ-কে সমর্থন করার সরকার। তাই আমরা বলছি বিগত লোকসভা নির্বাচনে যেভাবে আপনারা আমাদের সমর্থন করেছেন, এবার তার থেকে দ্বিগুন সমর্থন করবেন। এইজন্য আমাদের কার্যকর্তারা লেগে রয়েছেন। এইজন্যই আমিও উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছি।”

অন্যদিকে পর্যটন বিকাশ নিয়ে বলতে গিয়ে মন্ত্রী জানান, “পর্যটন বিকাশের অনেক রাস্তা রয়েছে উত্তরবঙ্গে। পর্যটন বিকাশের জন্য মূলত হোম-স্টেগুলিকে শক্তিশালী করতে হবে। যারজন্য আমার মন্ত্রালয় তৎপর রয়েছে। কিন্তু শর্ত একটাই রাজ্য সরকার রাজি হোক। তবে রাজ্য সরকার রাজি নাহলেও আমরা সরাসরি স্থানীয় যুবক-যুবতীদের ট্রেনিং দেবার কাজ করব। সেজন্য আমি সকল ভাই-বোনদের আমন্ত্রন করছি যেন তারা অনলাইন টুরিস্ট ফেসিলেটার কোর্স করে নেন। পাশাপাশি আমি এখানকার বিধায়কদের বলেছি আপনারা স্থানীয়ভাবে টিম বানান। তারপর সেই টিমগুলোকে বাইরে থেকে প্রশিক্ষিত লোকেরা এসে এখানে ট্রেনিং দিয়ে যাবেন।” এরপর আলিপুরদুয়ারের চৌপথি এলাকায় চায়ে-পে-চর্চা নামক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে কোচবিহারের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *