আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ১৬ ডিসেম্বর:
ব্যতিক্রমীভাবে পালিত হল জন্মদিনের উৎসব। বুধবার নিজের ১১তম জন্মদিনের আনন্দ অনাথ আশ্রমের শিশুদের সাথে ভাগ করে নিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া পুরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কনকপুরের বাসিন্দা পাউলি মাইতি। রাধাবল্লভচক সারদাময়ী বিদ্যাপীঠের রসায়নের শিক্ষক আলোক মাইতি ও তাঁর স্ত্রী গৃহবধূ ঝুম্পা মাইতির ইচ্ছে ছিল মেয়ে পাউলির ১১তম জন্মদিনটা একটু অন্যভাবে পালন করার। এই কাজে আলোকবাবুর সাথে পেয়ে যান স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মেদিনীপুর কুইজ কেন্দ্র সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটিকে। আলোকবাবু নিজেও কুইজ কেন্দ্রের সদস্য। পরিকল্পনা মতো মাইতি পরিবার ও মেদিনীপুর কুইজ কেন্দ্রের কর্মকর্তা ও সদস্য-সদস্যারা বুধবার সকালে পৌছে যান শ্যামসুন্দরপুর পাটনা এলাকার মাংলই গ্রামে “মৌচাক” সেবাশ্রমে। সেখানে জন্মদিনের উৎসব উপলক্ষ্যে তাঁরা সারাদিন কাটালেন অনাথ শিশুদের সঙ্গে। এদিন মাইতি পরিবার ও মেদিনীপুর কুইজ কেন্দ্রের উদ্যোগে পাউলির জন্মদিন উপলক্ষ্য একটি বই রাখার খোলা আলমারি, ৩৫টি বই ও প্রয়োজনীয় শিক্ষা সামগ্রী তুলে দেওয়া হল সেবাশ্রমের অনাথ শিশুদের হাতে।সেবাশ্রমের অনাথ শিশু ও বৃদ্ধদের সাথে একসাথে জন্মদিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে অংশগ্রহণ করেন মাইতি পরিবার ও কুইজ কেন্দ্রের সদস্য-সদস্যারা। এদিনের এই কর্মসূচিতে কুইজ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রিঙ্কু চক্রবর্তী, সম্পাদক সুজন বেরা, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মৌসম মজুমদার, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক কৃষ্ণপ্রসাদ ঘড়া, পশ্চিম মেদিনীপুরের সম্পাদক সুভাষ জানা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গৌতম বোস, স্নেহাশিস চৌধুরী, আল্পনা দেবনাথ বসু সহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্য-সদস্যার।
আশ্রমের অনাথ শিশুদের সাথে একইসাথে দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি একটি ঘরোয়া সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জন্মদিন পালন করা হয়। মাইতি পরিবারের পক্ষ থেকে কুইজ কেন্দ্র ও মৌচাক আশ্রমের কর্ণাধার মৃণাল সুন্দর পাত্রকে অসংখ্য ধন্যবাদ জনানো হয়। পাউলির মা ঝুম্পা বিশ্বাস মাইতি বলেন, “বিশিষ্ট শিক্ষক তথা সমাজসেবী মৃণাল সুন্দর পাত্র মহাশয়কে অসংখ্য ধন্যবাদ। যিনি নিজের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এবং ত্যাগের মাধ্যমে এই সেবাশ্রম গড়ে তুলেছেন এবং তাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। মনোরম এই আশ্রমিক পরিবেশে মেয়ের জন্মদিন পালন করতে পেরে আমরা খুব খুশি।” সপরিবারে উপস্থিত ছিলেন কুইজ কেন্দ্রের সহ-সভাপতি তথা শ্যামসুন্দরপুর পাটনা হাইস্কুলে বিশিষ্ট শিক্ষক, “শিক্ষারত্ন” গৌতম বোস। তিনি মাইতি পরিবারের এই উদ্যোগের যথেষ্ট প্রংশসা করে অভিনন্দন জানানোর, পাশাপাশি পাউলিকে শুভেচ্ছা ও স্নেহাশীষ জানান।