দেশদ্রোহের অভিযোগে প্রাক্তন পাক রাষ্ট্রপতি পারভেজ মোশাররফের ফাঁসির আদেশ

আমাদের ভারত,১৭ ডিসেম্বর: তিনি রাষ্ট্রদ্রোহী। এই অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাই প্রাক্তন পাক রাষ্ট্রপতি পারভেজ মুশাররফকে ফাঁসির আদেশ দিল পাকিস্তানের বিশেষ আদালত। ২০০৭ সালে সংবিধান বাতিল করে সাংবিধানিক জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্য তিন সদস্যের বেঞ্চ তাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়।

২০১৪ সালে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগে চার্জ গঠন হয়েছিল। চার্জ গঠনের পাঁচ বছর পর রায় দিল বিশেষ আদালত। আগেই বিশেষ আদালত রায় ঘোষণার দিন জানিয়ে দিয়েছিল। রায় দিতে গিয়ে বিচারকরা বলেছেন তিন মাস ধরে তারা অভিযোগ এবং সমস্ত নথি খতিয়ে দেখেছেন। আইনজীবীদের সাওয়াল-জবাব শুনেছেন। বিচারপতিরা বলেছেন পাকিস্তানের সংবিধানের ৬ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মুশাররফকে দোষী সাব্যস্ত করা হলো। তিন সদস্যের বেঞ্চ এর ২-১সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে এই রায় দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আদালত।

২০০৭ সালে পাকিস্তানের সংবিধান বাতিল করে সাংবাদিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি পারভেজ মোশারফ। আর এই ঘটনায় মুশাররফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।

২০১৩ সাল থেকে এই মামলার শুনানি চলছিল। মামলা চলাকালীন মুশাররফ উচ্চ আদালতে দাবি করেছিলেন, শারীরিকভাবে সুস্থ হয়ে আদালতে হাজির না হওয়া পর্যন্ত যেন আদালতে মামলার রায় না দেন। সেই কারণে এ রায় দেন পিছিয়ে যায়। হাইকোর্ট মুশারফের আর্জি খারিজ করার পর এদিন রায় দেয় নিম্ন আদালত।

৭৬ বছরের মোশাররফ আপাতত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে রয়েছেন। ইতিমধ্যে একটি দুর্নীতি মামলায় তাকে ৭বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল পাকিস্তানের অন্য আরেকটি আদালত। শারীরিক অসুস্থতার কারণে সেই মামলা থেকে জামিন পেয়েছিলেন তিনি। গত তিন বছর ধরে থাকেন দুবাইতে। ২০১৬ সালের ১৮ মার্চ চিকিৎসার জন্য দুবাই গিয়ে আর ফেরেননি। কয়েক মাস পরে বিশেষ আদালত তাকে ধারাবাহিক অপরাধী ঘোষণা করে। বারবার আদালতে হাজির না হওয়ায় তার সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেয় আদালত। এমনকি বাতিল হয় তার পাসপোর্ট পরিচয় পত্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *