তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে! পুরুলিয়ার কাশীপুরের বিধায়কের বিরুদ্ধে পোস্টার

সাথী প্রামানিক, পুরুলিয়া, ৩১ মে: তৃণমূলের ‘কল্পতরু’ কর্মসূচিকে ঘিরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল পুরুলিয়ার কাশীপুর বিধানসভা এলাকায়। বিধানসভা কেন্দ্রের হুড়া ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় বিধায়কের বিরুদ্ধে ‘একনায়কতন্ত্র’ চালানোর অভিযোগ তুলে পোস্টার পড়ল। রবিবার সকালে হুড়ার লক্ষ্মণপুর, লধুড়কা, লক্ষ্মণপুর বয়েজ হোস্টেলের দেওয়াল ছাড়াও বিভিন্ন গ্রামে বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার পোস্টার দেখা যায়। পোস্টারগুলিতে বিধায়ক স্বপন বেলথড়িয়ার নাম করে অভিযোগ করে বলা হয়, কল্পতরু খাবার বিতরণ করার সময় পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে। শুধুমাত্র নিজের অনুগামী ঘনিষ্ঠ লোকজনদের খাবার দেওয়া হয়েছে।

এই ব্যাপারে বিধায়কের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ করেছেন হুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা স্থানীয় ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি প্রসেনজিৎ মাহাতো। তিনি বলেন,’কল্পতরু কর্মসূচিতে সরাসরি যুব তৃণমূলের কাজ করার কথা। কিন্তু এক্ষেত্রে আমাদের কোনও পাত্তাই দেওয়া হয়নি। দলীয় কর্মসূচি হওয়া সত্ত্বেও তিনি এমনভাবে খাবার বিতরণ করেছেন যেন ব্যক্তিগতভাবে তা করছেন। এটারই প্রতিবাদ করেছেন সাধারণ মানুষ এবং তৃণমূলের সমর্থকরা।’

তাঁর বদনাম রটানোর জন্য দলের একাংশ নয় বিজেপিকে দায়ী করেছেন বিধায়ক স্বপন বেলথড়িয়া। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব একেবারে উড়িয়ে তিনি বলেন,’আমি যে কাজ করছি এটা বিজেপি সহ্য করতে পারছে না। ওরা কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। এই পোস্টার তাদেরই দেওয়া।’

এই ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা তথা বিজেপি জেলা সম্পাদক এবং কাশীপুর বিধানসভার দলীয় পর্যবেক্ষক আব্দুল আলীম আনসারী বলেন, ‘দুই গোষ্ঠীর ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে বিবাদ প্রকাশ্যে এল এই পোস্টারের মাধ্যমে। যদিও তৃণমূল বিধায়ক এখানে নিজেই পোস্টার হয়ে গিয়েছেন।’

এদিনের পোস্টার দেওয়াকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে শুধু গ্রামেই নয় জেলা রাজনৈতিক মহলেও। গত তিন মাস ধরে বিধায়ক ঘনিষ্ঠ হুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির মধ্যে বনিবনা নেই, নেই বার্তালাপ। এই ঘটনার ফলে সাংগঠনিক এই কোন্দল ক্রমেই প্রকাশ্যে আসছে বলে মনে করছেন তৃণমূলেরই একাংশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *