TMC, jalpaiguri, পার্টি অফিসে নেশার আসর! সামগ্রী আনতে গিয়ে প্রাণ গেল যুবকের, জলপাইগুড়িতে শাসক দলের কার্যালয়ে ভাঙ্গচুর

আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ২৫ জুন: শাসক দলের যুব পার্টি অফিসে নেশার আসর বসছে প্রায় দিনই বলে অভিযোগ। আসরে থাকা নেতাদের নেশার সামগ্রী আনতে গিয়ে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলো এলাকায় এক যুবকের বলে অভিযোগ। মৃত যুবকের নাম মহাদেব বর্মণ (২৫), ওই এলাকারই বাসিন্দা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায় সোমবার রাতে।

স্থানীয় যুব পার্টি অফিস ভাঙ্গচুর করে উত্তেজিত জনতা। ঘটনায় পর থেকে মঙ্গলবার এলাকার পরিবেশ ছিল থমথমে। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব সেন পাড়ার দিগল বাজারে। অভিযোগ পেয়ে পার্টি অফিসের সামনে বসে পুলিশ পিকেটিং।

যদিও শাসক দলের দাবি, মিথ্যে অভিযোগ। এই ঘটনার জন্য দায়ী বিজেপি। মৃতের পরিবারের দাবি, গত মঙ্গলবার পার্টি অফিসে নেশার আসর বসেছিল। নেশার সামগ্রী আনতে মহাদেবকে পাঠিয়েছিল স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা। নেশার সামগ্রী কিনতে গিয়েই দুর্ঘটনায় জখম হয় মহাদেব। শিলিগুড়ির এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল মহাদেব। পরিবারের আর্থিক অবস্থা না থাকায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় মহাদেবকে। চিকিৎসাধীন থাকার পরে শনিবার মৃত্যু হয় মহাদেবের। এরপরেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।

স্থানীয় বাসিন্দা জয় সেন বলেন, “তরতাজা যুবকের মৃত্যু হলো নেশার আসরের জন্য। প্রতিদিন নেশার আসর বসত পার্টি অফিসে। পাশেই রয়েছে মন্দির, তারপরেও রান্নাবান্না করা হত। আমরা চাই এলাকার শাস্তি শৃঙ্খলা বজায় থাকুক।”

স্থানীয় ব্যবসায়ী সুদেব মণ্ডল বলেন, “পার্টি অফিসে অনেকে আসত, নেশা করত চলে যেত। এভাবে একটা যুবকের মৃত্যু হবে এটা কাম্য নয়।”

মৃতের মা আরতি বর্মণ বলেন, “কিভাবে দুর্ঘটনা হয়েছে জানি না। তবে ওই পার্টি অফিসে নেশার আসর বসে প্রতিদিন। এই কারণে আমার ছেলেকে এভাবে হারাতে হলো। ওই পার্টি অফিস বন্ধ করে দেওয়া উচিত। আর যেন কারো কোল খালি না হয় এটাই চাইব।”

স্থানীয় কাউন্সিলর তথা তৃণমূল নেতা স্বরূপ মণ্ডল বলেন, “যুবকের মৃত্যু ঘটনায় কোনভাবেই কাম্য নয়। তবে এলাকাবাসীদের অভিযোগ ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো উচিত ছিল। পার্টি অফিস ভাঙ্গচুর করা ঠিক নয়। থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *