ডাক্তার নয়, করোনা থেকে বাঁচতে ‘দোয়া’য় আস্থা বাংলাদেশের মুসলিমদের একাংশের

চিন্ময় ভট্টাচার্য
আমাদের ভারত, ১৫ মার্চ: করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে হবে। কিন্তু, প্রতিষেধক আবিষ্কার না-হওয়ায় সেই রাস্তা এখনও খুঁজছে বিশ্ববাসী। বিশ্বের বাকি অংশের মতোই করোনা থেকে নিস্তার পাওয়ার রাস্তা খুঁজছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশও। তবে, এই বিশ্বজোড়া সংকটেও ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্রটির বাসিন্দা মুসলিম সমাজের একাংশের ধারণা, ডাক্তার বা ওষুধ নয়। একমাত্র সর্বশক্তিমান আল্লাহর জন্য নির্ধারিত ‘দোয়া’ই তাঁদের প্রাণ বাঁচাতে পারে। শুধু নিজেরা সেই ‘দোয়া’ বা প্রার্থনা করাই নয়, বাকিরাও যাতে সেই ‘দোয়া’ করে করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে পারে, সেজন্য বিশ্বের সকলের কাছে সেই ‘দোয়া’ ছড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ করছেন এই ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের একাংশ।

মুসলিম সমাজের ধারণা, সর্বশক্তিমান আল্লাহ আরবি ভাষায় কথা বলেন। সেই কারণে এই দোয়ার ভাষা আরবি। তবে, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের সকলে তো আর আল্লাহর ভাষা জানেন না, তাই সেই ‘দোয়া’র বাংলা তর্জমাও করে দিচ্ছেন আল্লাহর বার্তার প্রেরক বাংলাদেশের মুসলিম সমাজের একাংশ। সেই দোয়া হল:- ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল বারসি ওয়াল জুনুনি ওয়াল জুযামি ওয়া মিন ছাইয়্যি ইল আসক্কাম।’ যার বাংলা তর্জমা হল-‘হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি তোমার নিকট ধবল, উন্মাদ, কুষ্ঠরোগ এবং সকল প্রকার কঠিন ব্যাধি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।’

বাংলাদেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের অনেক আত্মীয় আবার ভারতে থাকেন। সেকথা মাথায় রেখে তাঁরা চান, ভারতে থাকলেও তাঁদের আত্মীয়রা যেন এই ‘দোয়া’ করেই করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে পারেন। যদিও ভারতীয় প্রশাসন এই ‘দোয়া’র ওপর বিশেষ আস্থা রাখতে পারনি। সেই কারণে, করোনা ভাইরাস রুখতে ইতিমধ্যে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত কার্যত স্তব্ধ করে দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *