আমাদের ভারত, ১৭ ফেব্রুয়ারি: ‘পদ্মশ্রী’-র প্রতি অভিনেত্রী দেবশ্রী রায়ের তাচ্ছিল্য ও অবমাননাকর মন্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানালেন সদ্য পদ্মশ্রীপ্রাপ্ত পশ্চিমবঙ্গের বিজ্ঞানী-শিক্ষাবিদ ডঃ নারায়ণ চক্রবর্তী।
এক সাক্ষাৎকারে দেবশ্রী মন্তব্য করেছেন, “হয়তো অযোগ্য বলে এখনও পদ্মশ্রী পাইনি”। প্রতিক্রিয়ায় নারায়ণবাবু এই প্রতিবেদককে শনিবার বলেন, “আমি কয়েকদিন আগে রাজস্থানের জয়পুর আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে আমন্ত্রিত হয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে পদ্মসম্মান প্রাপক হিসেবে অভূতপূর্ব সম্মান পেয়েছি। শুধু পশ্চিমবঙ্গেই দেখছি দায়িত্বজ্ঞানহীন হিংসার বহিঃপ্রকাশ।
এখানকার ‘বুদ্ধিজীবী’ তৈরী করা হয়েছে বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে। তাই এখানে ‘বুদ্ধিজীবী’ থেকে অভিনেতা, অভিনেত্রী তাদের হিংসার ঝুলি খুলে বিষ উগরে দিচ্ছেন। এই নির্বোধকুল জানেই না কিসের বিচারে পদ্ম সম্মান প্রদান করা হয়। দেশে তাদের কাজের অবদান এবং তার প্রভাব একমাত্র বিচার্য বিষয়।
‘মূর্খের পান্ডিত্ব’ প্রদর্শনকারী সংবাদ-মাধ্যমের প্রিয়পাত্র/পাত্রী পদ্ম সম্মানের কোনও মাপকাঠি নয়। নির্বোধের হিংসা প্রসূত অভিযোগের জবাব দেওয়া অনুচিত। যে বা যারা বলছেন, তাঁরা দেশের কোন ক্ষেত্রে কতটা প্রভাব ফেলেছেন, তা তাঁদের প্রমোটাররা ছাড়া অন্য কেউ জানেন না।”
প্রসঙ্গত, মৌলনা আজাদ কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রধান হিসাবে অবসর নেন, এর পর ওই কলেজে প্রাণীবিদ্যা বিভাগের স্নাতকোত্তর বিভাগের ভিজিটিং অধ্যাপক ছিলেন ডঃ নারায়ণ চক্রবর্তী। পশ্চিমবঙ্গ জৈবপ্রযুক্তি উন্ননয়ণ নিগমের প্রাক্তন পরামর্শদাতা ও অন্যতম ডিরেক্টর। আর্সেনিক দূষণ-সহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর লিখেছেন একাধিক প্রামান্য বই। এগুলোর মধ্যে ‘করোনা অতিমারির ইতিকথা’ এবং ‘ধর্ম শিক্ষা রাজনীতি’ যথেষ্ঠ নাম করেছে।