আমাদের ভারত, ২ জুলাই: ফের সংবাদ শিরোনাম উত্তরপ্রদেশের হাথরস। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে শাতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের মধ্যে বেশিরভাগ মহিলা ও তিনজন শিশু রয়েছে বলে জানা গেছে। মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
হাথরসে এক সৎসঙ্গ অনুষ্ঠান শেষ হতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। তখনই দুর্ঘটনা ঘটে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ব্যাপক চাপাচাপিতে প্রাণ হারান অসংখ্য মানুষ। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করছে স্থানীয় প্রশাসন।
২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর হাথরসে এক দলিত কিশোরীর গণধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশে। আবারো খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে হাথরস। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপৃষ্ঠের ঘটনায় বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে সেখানে। এই ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। হাথরসের জেলাশাসক আশীষ কুমার জানিয়েছেন, ৫০ থেকে ৬০ জন মারা গেছে। এদিকে অন্য এক জেলা কর্মকর্তা আরো ২৭ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেন। মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১০৭ জনের উপর মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে এখনো পর্যন্ত ২৭ জনের দেহ উদ্ধার করা গেছে। সময় যত গড়াচ্ছে ততই বাড়ছে মৃত্যু মিছিল। বহু মানুষ আহত হয়েছে, তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
এদিকে হাসপাতালে আহতদের নিয়ে গেলেও সেখানে পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লোকসভায় বক্তব্য রাখার সময় উত্তর প্রদেশ সরকারকে সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। মৃতদের দু’লক্ষ, আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছে উত্তর প্রদেশ সরকার।
কিছু স্থানীয়রা জানান, মানব মঙ্গল মিলন সদ ভাবনা সমাগম কমিটির তরফে এই সৎ সঙ্গের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে অনুষ্ঠান শেষ হতেই হুলুস্থুল বেধে যায়, ধাক্কাধাক্কি, ধস্তাধস্তিতে পিষ্ট হন বহু মানুষ। অসংখ্য পুন্যার্থী প্রাণ হারিয়েছেন।
কোনো কোনো প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ ও বেরিয়ে আসার জন্য ড্রেনের উপর একটি অস্থায়ী কাঠামো তৈরি করা হয়েছিল। অনুষ্ঠান শেষে প্রচুর সংখ্যক মানুষ একসঙ্গে বেরিয়ে আসতেই সেই কাঠামোটি ভেঙ্গে পড়ে। হুড়োহুড়ির মধ্যে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে।
ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী। পৌঁছেছেন রাজ্য পুলিশের ডিজিও।