আমাদের ভারত, ৫ ডিসেম্বর: বাংলাদেশে আলু পেঁয়াজ পাঠানো বন্ধ করে দিন। আর সেটা যদি করা যায় বাংলাদেশের কি দূরবস্থা হবে ভাবতে পারছেন? ধর্মতলা থেকে ঢাকাকে ঠিক এই ভাষাতেই কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কার্তিক মহারাজ।
বাংলাদেশে লাগাতার সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হামলার ঘটনা ঘটছে। ভেঙ্গে দেওয়া হচ্ছে একের পর এক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। ষড়যন্ত্র করে ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় দাস প্রভুকে আটকে রাখা হয়েছে সে দেশের জেলে। আর সেই সমস্ত ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বৃহৎ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয় ধর্মতলায়। একাধিক হিন্দু সংগঠনের তরফে এই সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেখানে যোগ দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ একাধিক বিজেপি নেতৃত্ব। তবে আজ কোনো বিজেপি নেতৃত্বের হাতে দলীয় পতাকা ছিল না। ধ্বজা নিয়ে এবং গেরুয়া বসনধারীদের নেতৃত্বেই আন্দোলন হয় আজ। এই সভায় যোগদান করেন ভারত সেবাশ্রম সংঘের কার্তিক মহারাজ। আর সেই সভা থেকে বাংলাদেশের পণ্য বয়কটের ডাক দেন তিনি। একইসঙ্গে বাংলাদেশে আলু পেঁয়াজ পাঠানো বন্ধ করে দেওয়ার দাবি তোলেন। আর এটা যদি হয় তাহলে কতটা যে খারাপ পরিস্থিতি হবে সে দেশের, সেটাও তিনি মনে করিয়ে দেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে ভারতীয় সেনা এবং ভারতীয় অবদানের কথা মনে করান তিনি। এই অবস্থায় একদিকে পণ্য পাঠানো বন্ধ করে যেমন অবিলম্বে সীমান্ত সিল করে দেওয়ার ডাক দিয়েছেন কার্তিক মহারাজ। একই সঙ্গে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহকে এ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়ে সেদেশের নির্যাতিত হিন্দুদের জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়ার আর্জিও জানান।
বাংলাদেশে চিন্ময় প্রভুকে না ছাড়া হলে সমস্ত ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার ডাক দেন তিনি যাতে ভারত থেকে কোনো পণ্য বাংলাদেশে না যায়।
আবার সনাতনীদের এই মঞ্চ থেকে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের জন্য আশ্রয় দিতে সীমান্ত খুলে দেওয়ার কথাও কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে বলেছেন কার্তিক মহারাজ।
গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশের ঘটনার প্রতিবাদে পথে নেমেই আন্দোলন বিক্ষোভ করছেন কার্তিক মহারাজ। কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনের অফিসে গিয়ে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এসেছেন। আজ ফের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এরপরেও ব্যবস্থা না নেওয়া হলে পশ্চিমবঙ্গে আরও বৃহত্তর আন্দোলন হবে।