পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৮ মার্চ: তরুণ থিয়েটারের উদ্যোগে শহিদ প্রদ্যোৎ স্মৃতি সদনে ৩-৭ মার্চ পর্যন্ত চলা এপার বাংলা ওপার বাংলা নাট্যোৎসব শেষ হল। ৬ মার্চ তরুণ থিয়েটারের নিজস্ব প্রযোজনা ছিল বীরাঙ্গনা রাণী শিরোমণি। চোয়াড় বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে এক অসাধারণ ঐতিহাসিক দলিল এই নাটকটি।
মেদিনীপুরের লক্ষীবাঈ নামে পরিচিত রাণী শিরোমণির জীবনগাথা নির্ভর নাটক মঞ্চস্থ করার এক দুঃসাহসিক প্রচেষ্টা নিল তরুণ থিয়েটার। নাচে গানে অভিনয়ে এই জমজমাট নাট্য প্রযোজনাটিতে ৭৪ জন কলাকুশলী অংশগ্রহণ করেন নাটকটির রচনাকার ও নির্দেশক ছিলেন সুরজিৎ সেন। নৃত্য পরিকল্পনা ও রাণীমার চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করেন দীপশিখা চক্রবর্তী। অভিনয়ে নজর কাড়েন বিশ্বজিৎ কুন্ডু, অসীম বসু, সত্যব্রত দোলই, হেদয়াতুর রহমান, শান্তি দত্ত, হিমাদ্রী মণ্ডল, দয়াময় প্রামাণিক, অভিজিৎ দে, অনুপম চন্দ, স্বস্তি মুখার্জি, মধুমিতা শীল, উপাসনা ভট্টাচার্য, তাপসী দে, পূর্ণ নাগ প্রমুখ।
এদিনের অন্য দুটি অসাধারণ প্রযোজনা ছিল গড়বেতা আমরা নবীনের নাটক রাস্তা ও খড়্গপুর আলকাপ এর নাটক মন। দুটি নাটকের অন্তর্বর্তী সময়ে বিগত ৩ মার্চ এ অনুষ্ঠিত নাট্য প্রতিযোগিতার দুটি বিভাগের ১৫ জন বিজেতাদের পুরস্কৃত করা হয়। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক জয়ন্ত কিশোর নন্দী, জেলা বিচারক সুরঞ্জনা চক্রবর্তী, জেলা তথ্য আধিকারিক বরুণ মণ্ডল প্রমুখ।
নাট্যোৎসবের শেষ দিন ৭ মার্চ মঞ্চস্থ হলো ঈশিতা মুখোপাধ্যায়ের নাটক ভূত। অভিনয়ে ছিলেন দেবশঙ্কর হালদার, সুভাশিস মুখার্জি প্রমুখ। এর পরে উৎসবের শেষ নাটক পরিবেশিত হলো হলদিয়া সংশপ্তক এর রাজদন্ড। পূর্ণ প্রেক্ষাগৃহে উপস্থিত দর্শকদের মুহূর্মুহূ উচ্ছ্বাস প্রমাণ করে দেয় তরুণ থিয়েটারের এই নাট্যোৎসব সর্বাঙ্গীন রুপে সফল। পাঁচ দিনের এই নাট্যোৎসব সঞ্চালনায় ছিলেন অরুণাভ প্রহরাজ, হিমাদ্রী মণ্ডল ও করবী বিশ্বাস।