market, Jalpaiguri, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জলপাইগুড়ির একাধিক বাজারে অভিযান প্রশাসনের

আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ১০ জুলাই: আনাজের দাম জলপাইগুড়ির বাজারে আকাশছোঁয়া। টমেটো এক কেজি দাম ছুঁয়েছে সেঞ্চুরিতে, বেগুনও সেঞ্চুরি ছুঁই ছুঁই। আনাজ কিনতে এসে দাম শুনেই বিপাকে ক্রেতারা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এবার নড়েচড়ে বসল জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিপণন দফতর।

বুধবার সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন বাজারে অভিযানে নামে প্রশাসন। খুচরো আনাজ ব্যবসায়ীদের কাছে পাইকারি বাজার থেকে আনাজ কেনার পাকা বিল পাওয়া যায়নি। সকলকে পাকা বিল রাখতে বলা হয়েছে প্রসাসনের পক্ষ থেকে। একাংশ পাইকারি ব্যবসায়ী আনাজ নিয়ে কালোবাজারি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও আনাজ ব্যবসায়ীদের দাবি, বৃষ্টির কারণে চাহিদার তুলনায় আনাজ আসছে কম। এই কারণে দাম বেড়েছে।

কৃষি দফতরের দাবি, আনাজের দাম বাড়িয়ে ক্রেতাদের অসুবিধে করা যাবে না। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে কাজ চলছে। সব আনাজের দাম বেড়েছে খুচরো বাজারে। দিন কয়েক আগে যে টমেটোর দাম ছিল ৩০- ৩৫ টাকা কেজি। বুধবার বাজারে সেই টমেটো বিক্রি হচ্ছে আশি থেকে একশো টাকা কেজি। এ দিন আনাজের দাম ছিল কেজি প্রতি আলু ৩৫-৪০ টাকা, বেগুন ৮০-৯০ টাকা, পটল ৫৫-৬০ টাকা, ফুলকপি ১৩০-১৫০ টাকা, পেঁয়াজ ৪৫-৫০ টাকা। শহরের বড় বাজারগুলির মধ্য দিনবাজার, স্টেশন বাজার, বয়েলখানা বাজার, বৌ বাজার রয়েছে। সব বাজারে আনাজের দাম প্রায় এক। বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন আনাজের দাম বাড়ার সম্ভবনা থাকে। কিন্তু আলু হিমঘর থেকে সরাসরি বাজারে আসছে, অন্যদিকে পেঁয়াজ, স্কোয়াশ এই ধরণের আনাজ বাইরে থেকে বাজারে রপ্তানি হচ্ছে। তাহলে এই আনাজের দাম কেন বেড়েছে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

বয়েলখানায় বাজার করতে আসা এক ক্রেতা রঞ্জন দত্ত বলেন, “বাজারে তো সবজির দাম যথেচ্ছ বেশি। প্রশাসন ময়দানে নেমেছে খুব ভাল উদ্যোগ।”

এদিকে আনাজ ব্যবসায়ী নারায়ণ সরকার বলেন,
“পাইকারি বাজারে সবজির দাম অনেকে বেশি। বৃষ্টির কারণে সাতদিন থেকে দাম বেড়েছে। এসডিও স্যার এসেছিলেন। পাকা বিল রাখতে বলেছেন।” মহকুমাশাসক তমোজিৎ চক্রবর্তী বলেন,”মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আনাজের বাজার গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে দাম। কেউ যদি মনে করে দাম বাড়াবে তাহলে ধরা পরে যাবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *