পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৮ নভেম্বর: অবিলম্বে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের অন্তর্গত শীলাবতী নদীর নিম্নাংশ সহ কংসাবতী নদী এলাকার সংস্কারের কাজ শুরু, চন্দ্রেশ্বর খালকে শীলাবতীর সঙ্গে সংযুক্তিকরণ, ডেবরার জগন্নাথপুরের ঝাপা বা এসকেপ(Escape)বাঁধা, ভেঙ্গে যাওয়া সমস্ত নদীবাঁধগুলি পাকাপোক্তভাবে নির্মাণ সহ একাধিক দাবিতে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণ সংগ্রাম কমিটির পক্ষ থেকে আজ মেদিনীপুরের সেচ দপ্তরে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক। এছাড়াও প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন দীপঙ্কর মাইতি, সুধীর চন্দ্র বাকলি, ভীম চন্দ্র মান্না, পঙ্কজ কুমার দেব, মদন চন্দ্র মন্ডল প্রমুখ।
সেচ দপ্তরের সুপারিনটেন্ডিং ও এক্সিকিউটিভ, অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে ৯ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয়। আধিকারিকরা আগামী বর্ষার পূর্বে শীলাবতীর নিম্নাংশের ২৩ কিমি, ওল্ড কাঁসাইয়ের ১০ কিমি, কাঁকি ও পলাসপাই নদী এবং শোলাটপা খাল সংস্কারের কাজ শুরু হবে বলে জানান। এছাড়াও ঘাটাল সার্কিট বাঁধকে শক্তপোক্ত করা সহ নারায়ণী ও দুধের বাঁধ এলাকায় দুটি পাম্প হাউস নির্মিত হবে বলেও প্রতিনিধি দলকে আশ্বাস দেন। চন্দ্রেশ্বর খালকে শীলাবতীর সঙ্গে যুক্ত করার পরিকল্পনার কাজও দ্রুততার সাথে এগিয়ে চলছে বলে আধিকারিকরা জানান।
নারায়ণ চন্দ্র নায়ক অভিযোগ করেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের টালবাহানার কারণে বহু প্রতীক্ষিত ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়িত না হওয়ায় প্রতি বছরের মতো এ বছরও ঘাটাল-ডেবরা-পাঁশকুড়ার বিস্তীর্ণ অংশ বিধ্বংসী বন্যা কবলিত হয়। অথচ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার মাস্টার প্ল্যান নিয়ে পরস্পর পরস্পরকে দোষারোপ করে চলেছে। যদিও রাজ্য সরকার ২০২৫ সাল থেকে মাস্টার প্ল্যানের কাজ শুরু করবে বলে ঘোষণা করেছে। আমরা চাই অতি দ্রুত শীলাবতী নদীর নিম্নাংশ খনন করার মধ্য দিয়ে কাজ শুরু হোক।