আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ১৩ এপ্রিল: খাবারের খোঁজে ভিক্ষে করতে বেরিয়ে মাথা ঘুরে পড়লেন এক অসহায় বৃদ্ধা। বালুরঘাট হাইস্কুল সংলগ্ন এলাকার ঘটনায় চাঞ্চল্য। ডিজিটাল রেশন কার্ড না থাকায় সরকারি সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ অসহায় বৃদ্ধার। এদিন দুপুরে এমন ঘটনা দেখার পরেই স্থানীয়রা ছুটে এসে ওই বৃদ্ধাকে কিছু খাবার ও জল দিয়ে সুস্থ করে তোলেন। শারিরীক সুস্থতা বোধ করতেই কিছুটা পারিবারিক দুশ্চিন্তার কথা প্রকাশ করেই ফের খাবারের খোঁজে ছুটে বেরিয়ে যান ভক্তি দত্ত নামে ষাটোর্ধ ওই বৃদ্ধা।
বালুরঘাট শহর লাগোয়া চক্ভৃগুর গোবিন্দপুরের বাসিন্দা ভক্তি দত্ত। স্বামী গোবিন্দ দত্ত পেশায় ভ্যান চালক। পারিবারিক অনটনের কারণে ভিক্ষে করে কিছুটা হলেও সংসারের খরচ যোগান ভক্তি দত্ত। কিন্তু লকডাউনের কারণে বর্তমানে স্বামীর উপার্জনও বন্ধ হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কিছুটা বাধ্য হয়ে খাবারের খোঁজে হন্যে হয়ে ভিক্ষে করতে বেরিয়েই প্রখর রোদে ক্লান্ত হয়ে বালুরঘাট হাইস্কুল মাঠে মাথা ঘুরে পড়ে যান ওই অসহায় বৃদ্ধা। যা দেখেই স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
জানাগেছে, ওই বৃদ্ধ দম্পতির সংসারে স্বামী ছেড়ে যাওয়া এক মেয়ে ও তার একটি ছোট শিশুপুত্র রয়েছে। চারজনের ওই সংসারে একমাত্র রোজগেরে বৃদ্ধ বাবা গোবিন্দ দত্তের ভ্যান চালানো বন্ধ হতেই ঘুম উড়েছে অসহায় ওই বৃদ্ধ দম্পতির। দুজনের বয়স সত্তর ছুঁইছুঁই হলেও আজও মেলেনি কোনও বৃদ্ধ ভাতা। ডিজিটাল রেশন কার্ড না থাকায় পরিবারটির মেলেনি কোন সরকারি সহায়তা বলে অভিযোগ। রেশনের কুপন বিলি হলেও আজো তারা পাননি সেই কুপন বলেও জানিয়েছেন ওই বৃদ্ধা। সব মিলিয়েই লকডাউনের মধ্যে এক চরম সঙ্কটের মধ্যে দিন কাটছে অসহায় ওই পরিবারটির। এমন পরিস্থিতিতে এক প্রকার বাধ্য হয়েই খাবার জোগাড়ে ভিক্ষে করতে প্রখর রোদে বাইরে বের হতে হয়েছিল ভক্তি দত্তকে।
বৃদ্ধা ভক্তি দত্ত জানিয়েছেন, লকডাউনে চরম সমস্যায় পড়তে হয়েছে তাঁদের। পরিবারের সকলের রোজগার বন্ধ হয়েছে। মানুষ ঘরবন্দি থাকায় কেউ ভিক্ষেও দিতে চাইছে না। সরকারি ভাবে রেশনও পায়নি তাঁরা। যার কারণেই এদিন বাইরে বেড়িয়েছিলেন ভিক্ষে করে কিছু খাবার জোগাড় করতে। কিন্তু প্রখর রোদের কারণে কিছুটা মাথা ঘুড়ে গিয়েছিল তার।