Occupying footpath, Eviction, Rampurhat, শাসক দলের ক্ষমতায় ফুটপাত দখল! উচ্ছেদের হুঁশিয়ারি রামপুরহাট মহকুমা শাসকের

আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ৭ ফেব্রুয়ারি: দিনের পর দিন দখল হয়ে যাচ্ছে ফুটপাত। অস্থায়ী দোকানকে কংক্রিটের দোকান গড়ে স্থায়ী করে তোলা হচ্ছে জেলখানার দেওয়াল ঘেঁষে। জেলখানার নিরাপত্তার কথা ভেবে ফের উচ্ছেদের নোটিশ ধরালেন রামপুরহাটের মহকুমা শাসক। প্রয়োজনীয় কাগজ দেখাতে না পারলে দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে মহকুমা শাসকের পক্ষ থেকে।

প্রসঙ্গত, রামপুরহাট পাঁচমাথা মোড় থেকে ব্যাঙ্ক রোড রাস্তায় জেলখানার ধারে গজিয়ে উঠেছে একাধিক দোকান। এক সময় অস্থায়ীভাবে ওই সমস্ত দোকান গজিয়ে উঠলেও দিনে দিনে সেই সব দোকান কংক্রিটের গড়ে উঠেছে। দিন কয়েক আগেও একটি দোকান গজিয়ে উঠেছে জেলখানার প্রাচীরের গা ঘেঁষে। এতেই নজরে পড়েছে প্রশাসনের। বছর দেড়েক আগেও ওই সমস্ত দোকান উচ্ছেদের নোটিশ জারি করেছিল জেলা প্রশাসন। কিন্তু রাজনৈতিক চাপে পিছু হটতে হয়েছিল প্রশাসনকে। শাসক দলের ছত্রছায়ায় থাকার ফলে এক শ্রেণির মানুষ স্থায়ীভাবে দোকান গড়ে তুলছে বলে অভিযোগ। দিন কয়েক আগে মানবিক স্টলের নামে তৃণমূল নেতা আব্দুর রেকিব কংক্রিটের দুই কক্ষের দোকান বানিয়ে ফেলেন। তার একটিতে বিরিয়ানির দোকান খোলেন। পুরনো মানবিক স্টলের সাইনবোর্ড মুছে ফেলে আরও একটি জায়গা দখল করে রেখেছেন।

যদিও আব্দুর রেকিব বলেন, “ওখানকার এক মোবাইল ব্যবসায়ী বিরিয়ানি দোকান খোলার জন্য ঘর করেছে। তার একটা অংশে আমরা রয়েছি। শর্ত ছিল বছরে মানবিক স্টলকে নতুন জামা কাপড় দিয়ে সহযোগিতা করবে। কিন্তু বিরিয়ানির দোকান খোলায় এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। তাই বন্ধ করা হয়েছে। বিষয়টি মহকুমা শাসকের উপস্থিতিতেই ঘোষণা করা হয়েছিল। পুরনো দোকানে আমাদের জামা কাপড় মজুত করে রাখা হবে। নতুন ঘর থেকে বিতরণ করা হবে”।

এদিকে একের পর এক দোকান গজিয়ে ওঠার ফলেই মহকুমা শাসক ফের উচ্ছেদের নোটিশ জারি করলেন বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীদের একাংশ। নোটিশে ২০ জন ফুটপাত ব্যবসায়ীকে ৮ ফেব্রুয়ারি মহকুমা শাসকের অফিসে প্রয়োজনীয় কাগজ নিয়ে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মহকুমা শাসক।

তৃণমূলের রামপুরহাট শহর সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি বলেন, “প্রশাসনের সঙ্গে আমরা সব রকম সহযোগিতা করব। তবে যারা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করছে তাদের কথা মাথায় রেখে পুনর্বাসনের দাবি রাখছি”।

রামপুরহাট মহকুমা শাসক সৌরভ পাণ্ডে বলেন, “ওখানে কিসের ভিত্তিতে ওরা বসেছে আমরা দেখব। সেই জন্য তাদের ডাকা হয়েছে। সমস্ত কাগজপত্র দেখার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *