আমাদের ভারত, ২৯ এপ্রিল: সন্দেশখালিতে অস্ত্র উদ্ধারে তল্লাশি চালিয়েছিল এনএসজি। এরপর সেখানে কী কী অস্ত্র মিলেছে তার একটা তালিকাও জানা যায়। তবে সেটা ছিল একেবারে প্রাথমিক হিসেব। এবার সিবিআই সোমবার বসিরহাট আদালতে জানিয়েছে সন্দেশখালিতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যে অস্ত্র ও বিস্ফোরক পাওয়া গিয়েছিল তার মধ্যে একটা ব্যাগ এনএসজি নিয়ে গিয়েছে। সে ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে যে পরিমাণ অস্ত্রের কথা এতদিন বলা হচ্ছিল সেটাই সব নয়। তাহলে আরো কতো অস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল?
ওই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে এমন একাধিক নথি পাওয়া গিয়েছিল যাতে ছিল শেখ শাহজাহানের নাম। এবার দাবি করা হয়েছে, যে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল তার মধ্যে একটি ছিল শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীরের ভাইয়ের অস্ত্র।
প্রাথমিকভাবে জানাগেছে, সেদিন যে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল তার মধ্যে একটি ব্যাগ নিয়ে যায় এনএসজি। এছাড়াও কিছু বিস্ফোরক নিয়ে যায় তারা। মনে করা হচ্ছে সেই ব্যাগে আরও দুটি অস্ত্র থাকতে পারে, কিন্তু সে অস্ত্র কার? কেমন সেই অস্ত্র? এসব তথ্য জানা যায়নি। তবে এই বিষয়টি এই অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় নতুন একটা দিক নির্দেশ দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
শাহজাহান ঘনিষ্ঠ আব্বু তালেব মোল্লার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল এই অস্ত্র। এরপর গোটা বাংলাজুড়ে কার্যত হইচই পড়ে যায়। তবে এর আগে যে তালিকা দেওয়া হয়েছিল তাতে উল্লেখ করা হয়েছিল কোন কোন অস্ত্র ছিল ওই বাড়িতে। শুক্রবার সন্দেশখালিতে দুটি ঠিকানায় তল্লাশি চালায় তারা। সেখানে তিন দিকে ভেড়ি দিয়ে ঘেরা একটা পাকা বাড়ির মেঝে খুঁড়ে বিভিন্ন মাপের সাতটি রিভালবার পেয়েছে তারা। তার মধ্যে তিনটি রিভালবার ও পিস্তল বিদেশি। এরমধ্যে এমন একটি পিস্তল রয়েছে যেটি পুলিশ ব্যবহার করে। এছাড়াও রয়েছে একটি দেশি রিভালবার। বিভিন্ন মাপের ৩৫০টি কার্তুজ পাওয়া গিয়েছিল সেখানে। আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়াও শাহজাহানের ডেরা থেকে বিস্ফোরক উদ্ধার করেছিলেন এনএসজির কমান্ডোরা। সেই বিস্ফোরক বিশেষ রোবটের সাহায্যে নিষ্ক্রিয় করেন এনএসজি কমান্ডোরা। এ ছাড়া উদ্ধার হয়েছে শেখ শাহজাহানের প্যান কার্ড- সহ বেশ কিছু নথি। শাহজাহানের ব্যবসা সংক্রান্ত বেশ কিছু কাগজও পাওয়া গিয়েছিল। সবমিলিয়ে গোটা ঘটনার বিপাকে পড়তে পারে শাহজাহান। তবে সিবিআই দাবি করেছে, যে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল তার মধ্যে একটি ছিল শাহজাহানের ভাইয়ের অস্ত্র।